মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে সাত শিশুসহ শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘ভয়ানক এবং জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্রপন্থী নেতা অং সান সু চি সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত এবং বন্দি হওয়ার পর থেকে মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে জনগণ লাগাতার বিক্ষোভ করছে।
বিক্ষোভ দমনে সহিংসতার পথ বেছে নেয় সামরিক সরকার। শনিবার (২৭ মার্চ) নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নারী ও শিশুসহ ১১৪ জনকে গুলি করে যা সেনা অভ্যুত্থানের পর একদিনে সর্বোচ্চ হত্যাযজ্ঞ।
স্থানীয় সময় রবিবার (২৮ মার্চ) নিজ রাজ্য ডেলাওয়ারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বাইডেন বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর এ ধরনের পদক্ষেপ খুবই ভয়ঙ্কর। আমি খবর পেয়েছি দেশটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর লাগামহীন অভিযানে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে যা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। এ ধরনের পদক্ষেপ একেবারে জঘন্য।’
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভয়াবহ এ সহিংসতাকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে অভিহিত করেছে।
ইইউ বৈদেশিক নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গতকাল যে রক্তপাত ঘটিয়েছে তা খুবই ভয়ঙ্কর এবং লজ্জার।’
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াসহ ১২টি দেশের সামরিক প্রধানরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর এমন জঘন্য কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির