ইরান এবং তুরস্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি পরিবর্তন করতে চায়। ২০১৫ সালে দু দেশের মধ্যে এই শূল্কমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে এবং করোনাভাইরাসের মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর এই চুক্তি থেকে ইরান ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ইরানি প্রেসিডেন্টের চিফ-অফ-স্টাফ মাহমুদ ওয়ায়েজি সোমবার জানিয়েছেন, ইরান ও তুরস্কের শীর্ষ পর্যায়ের অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়ী কর্মকর্তারা এই প্রিফারেনশিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট বা পিটিএ পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে তেহরানে আলোচনায় বসবেন।
মাহমুদ ওয়ায়েজি জানান, আলোচনার সময় তুরস্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হবে যাতে তারা বর্তমান চুক্তির আওতায় ইরান থেকে কম শূল্কের আরও বেশি পণ্য নেয়।
তিনি বলেন, “আমরা চাইছি পণ্যের ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন আনতে যাতে আমাদের ব্যবসায়িরা বর্তমান চুক্তির আওতায় আরেকটু বেশি লাভবান হতে পারে।”
বর্তমান চুক্তির আওতায় তুরস্ক থেকে আমদানির ক্ষেত্রে ইরান ১২৫টি পণ্যের ওপর কম শূল্কের সুবিধা পায় অন্যদিকে, তুরস্ক শূল্ক সুবিধা পায় ১৪০টি ইরানি পণ্যের ওপর।
২০১৫ সালে এ চুক্তি সইয়ের সময় ইরান ও তুরস্ক বার্ষিক বাণিজ্য তিন হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করেছিল কিন্তু ২০১৮ সালে ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
মাহমুদ ওয়ায়েজি বলেন, ভিয়েনায় ইরান ও পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে যে আলোচনা চলছে তা সফল হলে প্রতিবেশী তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্যর বিস্ফোরণ ঘটবে। তিনি জানান, দু’ দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক লেনদেন বাড়ানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম