প্রতিরক্ষা কমিটির বৈঠকে ডাক পেলেও চীন নিয়ে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। তাই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন ভারতের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তার পিছু নেন সংসদের আরও কিছু সদস্য। খবর আজকালের।
বুধবার দুপুর তিনটা নাগাদ প্রতিরক্ষা বিষয়ক ওই বৈঠকটি ছিল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী-সহ একাধিক কংগ্রেস সাংসদও। সেই বৈঠকেই রাহুল গান্ধী ফের একবার চীন ইস্যু নিয়ে কথা বলতে চান। চীনের আগ্রাসন নীতির জবাবে ভারতের অবস্থান কী, সে বিষয়েও জানতে চান তিনি। কিন্তু বৈঠকে এই বিষয়ে কথা বলতে মানা করা হলেই রেগে যান রাহুল গান্ধী। বেরিয়ে যান বৈঠক ছেড়ে। তার পিছু নেন কংগ্রেসের একাধিক সাংসদ।
গতবছর থেকেই চীন ও লাদাখ ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী। বিভিন্ন সময়ে তিনি দাবি করেছেন, চীন ভারতের মাটি দখল করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমস্ত কিছু জেনেও চুপ রয়েছেন কারণ তিনি চীনকে ভয় পান। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে অস্বীকার করা হয়েছে। পাল্টা তোপ দাগা হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। এদিনের বৈঠকেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়াতেই রাগে বৈঠক ছেড়ে চলে যান তিনি।
জানা গেছে, জুয়েল ওঁরামের সভাপতিত্বে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ছিল বুধবার। সেখানে ভারত–চীন সীমান্তের আপৎকালীন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবি জানান ওই কমিটির অন্যতম সদস্য রাহুল।
সূত্রের বক্তব্য, বৈঠকে রাহুল দাবি করেন প্রতিরক্ষাসচিব এসে পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিন। বৈঠকে সেনা ক্যান্টনমেন্ট সংক্রান্ত আলোচনার কথা ছিল ওই বৈঠকে।
সূত্রের খবর, কমিটির সভাপতি জানিয়ে দেন যে নির্ধারিত আলোচ্যসূচির বাইরে গিয়ে ভারত–চীন নিয়ে আলোচনা করা যাবে না। প্রতিবাদে কমিটির বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন রাহুল এবং ওই কমিটির বাকি কংগ্রেস সদস্যরা।
এর আগে এই একই দাবিতে ডিসেম্বরে সংসদের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকেও ওয়াকআউট করেন রাহুল।
জানা গেছে, আসন্ন গ্রীষ্মকালীন অধিবেশনের জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছে কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে যে সংসদীয় কৌশল বৈঠক করা হয়, তাতে চীনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা নিয়েও কথা বলা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম