দখল, সন্ত্রাস ও গণহত্যার দায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার উচিত বলে জানিয়েছে দ্য এক্সপোজ পাকিস্তান কমিটি। তাদের দাবি, পাকিস্তান নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোকে আফগানিস্তান ও কাশ্মীর দখলে সহায়তা করছে।
একই সঙ্গে দেশটি অধিকৃত বেলুচিস্তান, গিলগিট-বালতিস্তান, সিন্ধু ও পশতুনিস্তানে সাংস্কৃতিক এবং জাতিগত হত্যা চালিয়েছে। এছাড়াও দেশটি অর্থনৈতিক কারণে চীনকে চায়না-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপেক) নির্মাণে সহায়তা করছে।
দ্য এক্সপোজ পাকিস্তান কমিটি আরও বলছে, চীন, পাকিস্তান ও ইরান- এই তিনটি দেশ আফগানিস্তানে উপনিবেশবাদকে উৎসাহ দিচ্ছে। ফলে সেখানকার নারী ও শিশুদের জীবন বিষিয়ে উঠেছে। এছাড়াও আফগানিস্তানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তাই এটিরও আশু সমাধান প্রয়োজন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসের সামনে গত ১৪ আগস্ট এক বিক্ষোভে দেশটির স্বাধীনতা দিবসকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে অভিহিত করে এসব দাবি জানান দ্য এক্সপোজ পাকিস্তান কমিটির নেতারা। দ্যা এক্সপোজ পাকিস্তান কমিটির মধ্যে রয়েছে, পশতুন তাহফুজ মুভমেন্ট- ইউএসএ, বেলুচিস্তান ন্যাশনাল মুভমেন্ট, জয় সিন্ধু ফ্রিডম মুভমেন্ট, হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশি মাইনোরিটিজ এবং কাশ্মীর/গিলগিট-বালতিস্তান নামক কয়েকটি সংগঠন।
এই সিরিজ বিক্ষোভে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কমপক্ষে ১০০ জন অংশগ্রহণ করেন। তাদের হাতে ব্যানার, ফ্ল্যাগ ও প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এ সময় তারা সন্ত্রাসবাদকে পররাষ্ট্র নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করায় পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, দেশটির সেনাবাহিনী বেলুচিস্তান, গিলগিট-বালতিস্তান, সিন্ধু ও পশতুনিস্তানের মানুষদের সাথে উপনিবেশিক আচরণ করছে এবং সেখানে জাতিগত হত্যা চালাচ্ছে।
দ্য এক্সপোজ পাকিস্তান কমিটির নেতারা আরও বলেন, তালেবান, পাকিস্তান-চীন-ইরান-তুরস্ক গণতান্ত্রিক বিশ্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। তারা পাকিস্তানের কাছে অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি বন্ধের দাবি জানান। এছাড়াও সন্ত্রাস ও গণহত্যার জন্য চীন, ইরান ও পাকিস্তানের ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, দ্য এক্সপোজ পাকিস্তান কমিটি পাকিস্তানে অধিকার লঙ্ঘন এবং সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি সম্পর্কে আমেরিকানদের সচেতন করার জন্য কাজ করে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর