আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র নারী পরিদর্শকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগের বিষয়ে এবার মুখ খুললো ইরান। তেহরান দাবি করছে, সংস্থাটি যে অভিযোগ করেছে তা ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’। আইএইএ’তে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজেম গরিবাবাদি বলেছেন, সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের বৈঠকের আগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ধরনের মিথ্যা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সংস্থাটির নারী পরিদর্শকদের সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক আচরণকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে ঘোষণা করে আইএইএ । এর একদিন আগে মঙ্গলবার মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ‘কয়েকজন কূটনীতিককে’ উদ্ধৃত করে লিখেছিল, ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনার নিরাপত্তা কর্মীরা আইএইএ’র নারী পরিদর্শকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন।
পত্রিকাটি দাবি করছে যে, গত জুন মাসে কয়েকবার এ ঘটনা ঘটেছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে দাবি করা হয়, নিরাপত্তা রক্ষীরা অনুপযুক্তভাবে নারী পরিদর্শকদের শরীর স্পর্শ করেন এবং তাদের পোশাক খুলে ফেলতে বলেন।
গরিবাবাদি লাঞ্ছনার দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, দুঃখজনকভাবে সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে কয়েক দফা নাশকতামূলক তৎপরতা চালানো হয়। এ ধরনের তৎপরতার পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য এসব স্থাপনায় নিরাপত্তা তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে এবং আইএইএ’র পরিদর্শকরা এই তল্লাশির আওতামুক্ত নন।বিষয়টি আইএইএ’কে আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
গরিবাবাদি আরো বলেন, আইএইএ’কে একথাও জানানো হয়েছে যে, তার পরিদর্শকরা যেন ইরানের নিরাপত্তা কর্মীদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন।
তিনি বলেন, আগে যারা ইরানে পরিদর্শনের কাজে এসেছিলেন এবং এরকম তল্লাশির সম্মুখীন হননি তাদের কাছে এটিকে লাঞ্ছনা মনে হতেই পারে; কিন্তু বিষয়টি মোটেও সেরকম কিছু নয়। আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের বিব্রত করার কোনো ইচ্ছা আমাদের সহকর্মীদের ছিল না বরং এটি ছিল নিরাপত্তা তল্লাশিরই অংশ।
আইএইএ’তে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আরো বলেন, তারপরও কোনো পরিদর্শকের যদি অভিযোগ থাকে তাহলে তিনি তা লিখিত আকারে জানাতে পারেন আমরা তা তদন্ত করে দেখব। আর আমাদেরও কোনো অভিযোগ থাকলে আমরাও তা তদন্তের স্বর্থে লিখিত আকারে জানাব। সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক