পর্যটক হিসেবে বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেরানোর সখ অনেকেরই। এর জন্য খরচের খাতাটাও খোলা রাখতে হয়।তবে ভ্রমণের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচের ইতিহাস হয়তো খুব একটা নেই। জাপানের বিলিয়নিয়ার ইউসাকু মায়েযাভা কিন্তু সেটিই করেছেন। তবে তার ভ্রমণের জায়গা পৃথিবীর কোনো দর্শনীয় স্থান নয়। তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন মহাকাশ।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১২ দিন কাটানোর পর সোমবার পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন তিনি। আর এ ভ্রমণের জন্য তিনি খরচ করেছেন আনুমানিক ৬১৩ কোটি টাকা।
নিজের ব্যক্তিগত সহকারী ও ফিল্ম প্রডিউসার ইয়োযো হিরানো এবং রাশিয়ান মহাকাশচারী আলেকজান্ডার মিসুরকিনকে নিয়ে কাজাখস্তান থেকে মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি। সফর শেষে আবার কাজাখস্তানেই অবতরণ করেন।
এ সফরে কী কী করছেন সে বিষয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ছবি এবং ভিডিও আপলোড করেছেন তিনি। এসব পোস্টে তিনি কীভাবে মহাকাশের ভরশূন্য অবস্থায় চা বানাতে হয় তা দেখাচ্ছিলেন। তাছাড়া মহাকাশ স্টেশনে অতিরিক্ত অন্তর্বাসের ঘাটতির বিষয়টিও আলোচনা করতে দেখা গেছে তাকে। সব মিলিয়ে এ ভ্রমণটি তিনি বেশ উপভোগ করেছেন বলা যায়।
ইয়োযো হিরানো, আলেকজান্ডার মিসুরকিন এবং ইউসাকু মায়েযাভা
স্পেস স্টেশন থেকে এক লাইভ ইন্টারভিউতে ইউসাকু মায়েযাভা বলেন, ‘‘এমন চমৎকার অভিজ্ঞতা পাওয়া যে কতোটা মূল্যবান তা আপনি শুধু মাহাকাশে আসলেই বুঝতে পারবে।”
এদিকে ভ্রমণটিতে কী পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে এমন প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি উত্তর দেননি ইউসাকু মায়েযাভা। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভ্রমণে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৬১৩ কোটি টাকা। টাকার অংকটি ঠিক কতো তা প্রকাশ করতে না চাইলেও ইউসাকু মায়েযাভা জানান, অংকটি অনেকটা এরকমই।
প্রথমবারের ভ্রমণ শেষে ২০২৩ সালে আবারও মহাকাশে যাওয়ার পরিকল্পনা তার। এবার লক্ষ্য চাঁদে যাওয়া। নিজের সঙ্গে আরও আটজনকে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন এই ব্যবসায়ী।
উল্লেখ্য, ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, ইউসাকু মায়েযাভা ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা।
সূত্র : ডয়চে ভেলে, এপি, রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ