শিল্পী হ্যারল্ড টমাসের নকশা করা অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসী পতাকা ব্যবহারে এবার থেকে কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। এই পতাকা ব্যবহারে কোনো অর্থও দিতে হবে না আর। এই চুক্তির ফলে আদিবাসী পতাকার ব্যবহার নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কের অবসান ঘটল।
১১৩ কোটি টাকারও বেশি দিয়ে আদিবাসী পতাকার স্বত্ব নিল অস্ট্রেলিয়ার সরকার। এবার থেকে এই পতাকা ব্যবহার করলে কোনো আইনি পদক্ষেপ করা হবে না্ এর ফলে দীর্ঘদিনের বিতর্কের শেষ হল। ক্রীড়া দল এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এই পতাকা ব্যবহারে কোনো সমস্যা থাকবে না।
১৯৯৫ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার একটি সরকারি পতাকা হিসেবে স্বীকৃত আদিবাসী পতাকাটি। এই পতাকাটিকে শুধু সরকারি কার্যালয়ে দেখা যেত এতদিন।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এবার থেকে অস্ট্রেলিয়ানদেরদের জন্য আদিবাসী পতাকা ব্যবহারে কোনো অর্থ লাগবে না।’’
স্কট মরিসন আরও জানান, খেলাধুলার মাঠ-সহ যে কোনো মাধ্যমে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। পতাকা ব্যবহারের জন্য কারও কাছে অনুমতি চাইতে হবে না। কোনো অর্থও দিতে হবে না ৷
এখন থেকে পতাকাটির স্বত্ব রাষ্ট্রের। এটি প্রত্যেকের। কেউ এটি কেড়ে নিতে পারে না। অস্ট্রেলিয়া দিবসের প্রাক্কালে, জাতীয় ছুটির দিনে এই ঘোষণাটি তাৎপর্যপূর্ণ।
কেন আদিবাসী পতাকা ব্যবহারে বিতর্ক?
পতাকাটির নকশা করেছেন আদিবাসী শিল্পী হ্যারল্ড টমাস। এটি অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের জন্য বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
টমাস বলেন, ‘‘আমি আশা করি, এই ব্যবস্থার ফলে আদিবাসী মানুষজন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। গর্বের সঙ্গে কোনো বিধিনিষেধ ছাড়া এই পতাকা ব্যবহার করা যাবে।’’
টমাস গত ৫০ বছরে বেশ কয়েকটি সংস্থাকে এই পতাকা ব্যবহারের অধিকার দেওয়ার পরে তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। সংস্থাগুলির একটি ছিল ডব্লুএএম ক্লথিং। পোশাকের উপর আদিবাসী পতাকা ব্যবহারের কারণে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লিগের মতো ক্লাবগুলিকে চিঠি পাঠিয়েছিল তারা।
সরকার এখন সংস্থাগুলির কাছে থাকা লাইসেন্স বাতিলের জন্য অর্থ দিচ্ছে। সরকারের সঙ্গে চুক্তির অংশ হিসেবে, টমাসের নামে আদিবাসী ছাত্রদের জন্য ৮৫ লাখ টাকা অর্থমূল্যের বৃত্তি চালু হলো।
সূত্র: ডয়চে ভেলে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন