২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৪৪

বুরকিনা ফাসোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ইইউ’র

অনলাইন ডেস্ক

বুরকিনা ফাসোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ইইউ’র

বুরকিনা ফাসো নিয়ে কড়া মনোভাব দেখাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার হুমকি দেয়া হয়েছে।

সাংবিধানিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার না হলে বুরকিনা ফাসোর সেনাশাসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিল ইইউ। 

ইইউ’র পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক প্রতিনিধি জোসেপ বরেল জানিয়েছেন, তারা বুরকিনা ফাসোয় আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দিতে পারেন।

বরেল সেনাশাসকদের বলেছেন, যদি সাংবধানিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার না হয়, তাহলে তার প্রভাব বুরকিনা ফাসোর সঙ্গে ইইউ’র সম্পর্কের উপর পড়বে। ইইউ আগেই আটক প্রেসিডেন্টকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে।

বরেল বলেছেন, বুরকিনা ফাসোর বিরুদ্ধে ইইউ নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। বিশেষ করে সেনা কর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। বুরকিনা ফাসোকে আর্থিক সাহায্য দেয়াও বন্ধ করতে পারে ইইউ।

গতকাল বুধবার চাঁদ, মালি, নাইজার এবং বুরকিনা ফাসোর কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বরেল।

ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইসিওডাব্লিউএএস) বুধবার ঘোষণা করেছে, তারা শুক্রবার জরুরি বৈঠকে বসছে। সেখানেই বুরকিনা ফাসোর সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে কথা হবে। ইসিওডাব্লিউএএস এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন বুরকিনা ফাসোয় সেনাশাসনের নিন্দা করেছে।

বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ ছিল। তাদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট চরমপন্থিদের ঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারেননি। গত কয়েক মাস ধরে তাই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখানো হচ্ছিল।

বুরকিনা ফাসোতে আল কায়দা, আইএসের সঙ্গে জড়িত গোষ্ঠীগুলি সক্রিয়। তাদের আক্রমণে ১৫ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে। গত বছর দুই হাজার মানুষ সন্ত্রাসীদের আক্রমণে মারা গেছেন।

সেনা জানিয়েছে, এই কারণেই অভ্যুত্থান হয়েছে।

পিপলস মুভমেন্ট ফর প্রোগ্রেস পার্টি সংবাদসংস্থা এএফপি’কে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভালো আছেন। তাকে প্রেসিডেন্টের বাসভবনেই গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।

সূত্র: ডয়চে ভেলে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর