মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের দিন শেষ হতে যাচ্ছে। এ অঞ্চলের দেশগুলোর জনগণ সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। আজ বৃহস্পতিবার এক সমাবেশে ভার্চুয়ালি দেয়া এক ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ইরান যে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চায় না তা শত্রুরাও জানে, এরপরও তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ কাজে পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দিতে চায় না। কিন্তু আজ হোক অথবা কাল আমাদেরকে বেসামরিক কাজে পরমাণু জ্বালানীর ওপর নির্ভরশীল হতেই হবে। আজ যদি আমরা এই প্রযুক্তি পুরোপুরি আয়ত্বে না আনি আগামীকাল আমরা পিছিয়ে পড়ব। সেদিন যাতে শত্রুদের মুখাপেক্ষী হতে না হয় সেজন্যই আমরা পরমাণু কর্মসূচির প্রতি এতটা গুরুত্ব দিচ্ছি। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পরমাণু শক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। কাজেই আমাদেরকে এই খাতে ব্যাপকভাবে গবেষণা চালাতে হবে।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ভিয়েনায় চলমান পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের সংলাপের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ২০১৫ সালে যখন পরমাণু সমঝোতা সই হয় তখন আমার কিছু দিকনির্দেশনাকে আমলে না নেয়ার কারণে বর্তমান অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তরুণ সমাজকে বিপ্লবের চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়- জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্য তারা শত শত কোটি ডলার খরচ করে বিপ্লবের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা দেশের সরকারের সঙ্গে জনগণের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায়। এ লক্ষ্যে তারা ইরানের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছে। কিন্তু ইরানি জনগণ যদি অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলা করতে পারে তাহলে শত্রুরা হতাশ হবে।
সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক