ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ওপর হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দেশটির ব্যাংকগুলোকে সুইফ সিস্টেম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার ব্যাংকের গ্রাহকরা এখন রাশিয়ার বাইরে লেনদেন করতে পারবেন না। আবার যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশগুলোতে অবস্থানরত রুশ নাগরিকরাও; যাদের রাশিয়ার ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তারাও লেনদেন করতে পারছেন না। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার কারণে মানুষ আরও বেশি করে ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝুঁকবে বলে বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিয়েছেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারমূল্য এখন তিন ট্রিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক আর্থিক সিস্টেমে বিদ্যমান ঝামেলা থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ক্রিপ্টোকারেন্সি। কিছু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ক্রমেই এটি আর্থিক লেনদেনের মূল উৎস হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এ কারণে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রেডিট কার্ড নেটওয়ার্ক ভিসা, মাস্টারকার্ড, ইন্টারনেট জায়ান্ট পেপাল রাশিয়ার কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর ইস্যু করা ক্রেডিট ও ডেভিট কার্ড রাশিয়ার বাইরে কাজ করবে না। রাশিয়ার ব্যাংকগুলোও দেশের বাইরে কার্যক্রম চালাতে পারবে না। দেশের বাইরের কার্ড গ্রহণ করতে পারবে না। রাশিয়ান ব্যাংকগুলো কার্ড ইস্যু করতে এখন বিকল্প উপায় খুঁজছে বলে জানা গেছে।
এতসব নিষেধাজ্ঞার ফলে যারা ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত নন তারাও ভুগছেন। ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। এজন্যই মানুষের মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেনের আগ্রহ বাড়ছে। এ বিষয়ে চীনে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ডিজিটাল ইউয়ান চালু করেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র সরকারও ডিজিটাল মুদ্রাব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনার দিকে নজর দিচ্ছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশও স্বাক্ষর করেছেন।
সূত্র : আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা