তুরস্কের ইস্তামবুলে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বড় কোনো অর্জন (ব্রেকথ্রু) হয়নি বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলে সরাসরি আলোচনায় বসেছিলেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী জোট নিরপেক্ষ (নিউট্রাল স্ট্যাটাস) অবস্থান গ্রহণে রাজি থাকার কথা জানান।
জোট নিরপেক্ষ অবস্থানের অর্থ, ইউক্রেন আর ন্যাটোর মতো কোনো সামরিক জোটে যোগ দেবে না, এমনকি কোনো দেশ বা জোটকে সামরিক ঘাঁটিও করতে দেবে না। এর বিনিময়ে ইউক্রেনকে যে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে, সেখানে গ্যারান্টার হিসেবে পোল্যান্ড, ইসরায়েল, তুরস্ক, কানাডাসহ কয়েকটি দেশ থাকতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তামবুলে আলোচনায় ইউক্রেন লিখিত প্রস্তাবনা দিয়েছে এটা একটা ইতিবাচক বিষয়। তবে সেখানে প্রতিশ্রুতিশীল এবং বড় কোনো অর্জন হয়নি। এখনো অনেক কাজ বাকি।
ক্রিমিয়ার মর্যাদা কী হবে তা নিয়ে ইউক্রেন আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। কারণ, সংবিধান অনুসারে ক্রিমিয়া রাশিয়ার অংশ।
হামলার এক মাস হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বড় কোনো শহর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি রাশিয়া। ইউক্রেনীয় বাহিনীও কিছু এলাকায় অগ্রসর হয়েছে। কিয়েভের উপকণ্ঠ, উত্তর–পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণে কিছু এলাকা রুশ বাহিনীর কাছ থেকে পুনর্দখল করে নিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সমঝোতা বৈঠকের পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে কিছুটা লাগাম টানার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আশপাশ ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভে সেনা কমানোর কথা বলেছে তারা।
এক মাসের বেশি সময় ধরা চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের দিকে এটাই সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।
সূত্র: আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/ কবিরুল