পাকিস্তান সময় বিকেল চারটার পরই পার্লামেন্টের অধিবেশন ইমরান খানের অনাস্থা ভোটের প্রস্তাবের ওপর তর্ক-বিতর্ক। এরই মধ্যে ইমরানে জোট ছেড়েছে একটি শরীক দল। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে অনেকটা খাদের মুখেই পা দিয়ে আছেন ইমরান। মিরাকল কিছু না ঘটলে তার পদত্যাগ এখন অনেকের কাছেই সময়ে ব্যাপার কেবল।
এমন পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে গদি বাঁচানোর উপায় হিসেবে ইমরান হাজির হয়েছেন এক ‘গোপন চিঠি’ নিয়ে। যে চিঠিতে অনাস্থা ভোটের পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রমাণ আছে বলেই দাবি করে আসছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও তার দল। বিদেশি ষড়যন্ত্র বললেও কোনও দেশের নাম সরাসরি বলেননি মিস্টার খান।
তবে পাকিস্তানের একটি সূত্র বলছে, ইউক্রেন অভিযানের মধ্যে ইমরান খানের রাশিয়া সফরকে ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। তাই জো বাইডেন প্রশাসন ইমরানকে সরাতে চাইছে।
কিন্তু ইমরান খানের প্রশাসনকে কোনও চিঠি দেওয়ার বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। বুধবার দপ্তরটি জানিয়েছে, তারা পাকিস্তান সরকারকে কোনও চিঠি দেয়নি।
মর্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই সংবাদের কোনও ভিত্তি নেই। যুক্তরাষ্ট্রের কোনও সরকারি সংস্থা পাকিস্তানকে কোনও চিঠি দেয়নি।
বুধবারই ইসলাবাদে এক অনুষ্ঠানে ইমরান খানও বলেছিলেন, বিদেশ থেকে ফোনে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ করা একদল মানুষ তাকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছে।
সূত্র: ডন
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল