তিনি এক ক্যারিশম্যাটিক ক্যারেক্টার, সম্মোহনের জাদুকরও কারও কাছে। কারও কাছে আবার ভীষণ প্রেমিকও বটে। এক ইমরান খানের বাঁকে বাঁকে বহুরূপ, কখনও তিনি নায়ক তো পরক্ষণেই খলনায়ক বনে যান। ১৯৯২ সালে একটা তুলনামূলক দুর্বল দল নিয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ২২তম বছরেই তিনি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয় করেছিলেন। এরপর ১৯৯৬তে নেমেছিলেন রাজনীতিতে, সেই হিসেবে ২২ বছর রাজনীতির ময়দানে দৌড়ানোর পর প্রধানমন্ত্রীর মসনদ মিলেছিল ইমরানের ভাগ্যে।
২০১৮ সালের ২৫ জুলাইর সাধারণ নির্বাচনে ১৪৯ আসনে জয় পেয়েছিল ইমরানের দল পিটিআই। যা অনেকের কাছে ছিল চোখ ছানাবড়া করা এক বিস্ময়ের নাম। তবে ইমরান একা সরকার গঠন করতে পারেননি, তাই পিএমএল-কিউ, এমকিউএম-পি ও বিএপির সাথে জোট গড়ে সরকার গঠন করতে হয়েছিল। সেনাবাহিনীও তখন ইমরানকেই মৌন সম্মতি দিয়েছিল। যদিও অনেকের অভিযোগ, সেনাবাহিনীর কোলে চড়েই ইমরান পাকিস্তানের ক্ষমতায় বসতে পেরেছিলেন।
২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন একসময়কার এই ক্রিকেট সেনশেসন। আর ক্ষমতা হারান ২০২২ সালের ৯ এপ্রিল দিবাগত রাতে। খ্রিস্টিয় ক্যালেন্ডারের হিসেবে তখন অবশ্য ১০ তারিখ শুরু হয়ে গেছে।
দিনের হিসেব বলছে, বিশ্বকাপ জয়ী ইমরান খানের শাসনামলের স্থায়িত্ব ১ হাজার ৩৩১ কিংবা ৩৩২ দিন। ২০১৮ সালের যেদিন তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন, সেদিন ছিল শনিবার। আর তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালেন সেদিনও শনিবার দিবাগত রাত। খ্রিস্টিয় ক্যালেন্ডারে অবশ্য শনিবার দিবাগত রাতটা পৌঁছে গেছে রবিবারে।
সেই হিসেবে ৩ বছর ৭ মাস ২৩ দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইমরান। মাসের খতিয়ানে যা ৪৩ মাস ২৩ দিন। শনিবারে শুরু হওয়া তার ভাগ্যচক্র থেমেছে শনিবারের শেষভাগে এসেই।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল