ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলের যেসব এলাকা ছেড়ে চলে গেছে রুশ বাহিনী, সেসব এলাকায় সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অবিস্ফোরিত বোমা- এমনটিই দাবি করলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সোমবার রাতে এক ভিডিও বক্তৃতায় তিনি বলেন, “ঘরবাড়ি, রাস্তা ও মাঠ সর্বত্র বোমা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে গেছে রুশ বাহিনী, যা যুদ্ধাপরাধের সামিল। এখন এসব বিপজ্জনক বস্তু সরিয়ে ফেলতে কাজ করছে বেশ কিছু দল।”
জেলেনস্কি বলেন, “তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এসব কাজ করেছে যাতে দখলমুক্ত হওয়ার পর ওই এলাকায় ইউক্রেনীয়দের ফিরে আসা যতটা সম্ভব বিপজ্জনক হয়। রুশ বাহিনীর এই কার্যকলাপে আমাদের অঞ্চলটি আজ বিশ্বের অন্যতম মাইন (বোমা) দ্বারা দূষিত হয়ে পড়েছে।”
তিনি বলেন, “এই ধরনের কার্যকলাপ ‘যুদ্ধাপরাধ’। কেননা, এর উদ্দেশ্য ‘যতটা সম্ভব আমাদের মানুষগুলো হত্যা বা পঙ্গু করা’।”
তিনি আরও বলেন, রুশ নেতার সুস্পষ্ট নির্দেশ ছাড়া সেনারা এই ধরনের কাজ করতে পারে না।
উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ ভাষাভাষী অধ্যুষিত এই দুটি অঞ্চল একত্রে ডোনবাস নামে পরিচিত। স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পর অঞ্চল দুটিকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরই মধ্যে মঙ্গলবার ৪৮তম দিনে গড়িয়েছে এই সামরিক অভিযান। এই সময়ে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে নিজেদের সাধ্যমতো প্রতিরোধীও গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ফলে রাজধানী কিয়েভ ও এর আশেপাশের এলাকা এবং চেরনিহিভ থেকে পিছু হঁটতে বাধ্য হয় রুশ বাহিনী। এদিকে, আমেরিকা ও ইউরোপী ইউনিয়নের দেশগুলো এই অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে আখ্যা দিয়েছে। সূত্র: সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/কালাম