রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন। রুশ ভাষাভাষী অধ্যুষিত এই দুটি অঞ্চল একত্রে ‘ডোনবাস’ নামে পরিচিত। স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পর অঞ্চল দুটিকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে নিজেদের সাধ্যমতো প্রতিরোধীও গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এদিকে, আমেরিকা ও ইউরোপী ইউনিয়নের দেশগুলো এই অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার নতুন আক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য আরো অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মঙ্গলবার ৯০ মিনিটের ভিডিও কলের সময় যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য মিত্ররা কিয়েভে কামান, ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী অস্ত্র এবং বিমান প্রতিরক্ষা সহায়তা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া পূর্বাঞ্চলে নতুন অভিযান শুরু করায় আত্মরক্ষার জন্য তাদের আরও অস্ত্রের প্রয়োজন।
সোমবার রাতে ইউক্রেনের নেতা ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন ‘দনবাসের জন্য যুদ্ধের’ শুরু হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অন্যান্য পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে ওই ভিডিও বৈঠকের পর পার্লামেন্টে বলেছেন, ‘এটি একটি গোলন্দাজ বাহিনীর সংঘর্ষে পরিণত হবে। তাদের (ইউক্রেনের) আরো কামান ও গোলাসহ সমর্থন প্রয়োজন, যা আমরা দেব। ’
এদিকে নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও নিশ্চিত করেছেন, ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে আরো কামান পাঠাবে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ