২৮ মে, ২০২২ ১২:২৩

২০ বছর পর কারামুক্ত শিজেনেবু: জেনে নিন জাপান রেড আর্মির সংক্ষিপ্ত কর্মকাণ্ড

অনলাইন ডেস্ক

২০ বছর পর কারামুক্ত শিজেনেবু: জেনে নিন জাপান রেড আর্মির সংক্ষিপ্ত কর্মকাণ্ড

২০ বছর পর কারামুক্ত শিজেনেবু: জেনে নিন জাপান রেড আর্মির সংক্ষিপ্ত কর্মকাণ্ড

ফুসাকো শিজেনেবু, জাপানের সশস্ত্র গোষ্ঠী রেড আর্মির প্রতিষ্ঠাতা। ২০০০ সালে জাপানের ওসাকা শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ১৯৭৪ সালে নেদারল্যান্ডসের হেগে ফরাসি দূতাবাস অবরুদ্ধ করার অভিযোগে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর কারামুক্ত হলেন ফুসাকো শিজেনেবু।

স্থানীয় সময় শনিবার কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি। এ সময় ফুসাকো শিজেনেবু নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে ‘নিষ্পাপ মানুষের ক্ষতি’ করার জন্য সবার কাছে ক্ষমা চান।

গ্রেফতার হওয়ার আগে কয়েক দশক ধরে আত্মগোপনে ছিলেন রেড আর্মির প্রতিষ্ঠাতা ৭৬ বছরের ফুসাকো শিজেনেবু।

জাপান রেড আর্মির কর্মকাণ্ড

জাপানে একসময় ত্রাস সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী ছিল ফুসাকো শিজেনেবুর রেড আর্মি। বড় বড় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল এই গোষ্ঠী। ইসরায়েলের একটি বিমানবন্দরে প্রাণঘাতী একটি হামলা চালিয়েছিল তারা। ১৯৭২ সালে তেল আবিবের লোদ বিমানবন্দরে ওই হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও মানুষকে জিম্মি ও অপহরণের একাধিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল ফুসাকোর রেড আর্মি।

সর্বশেষ ১৯৮৮ সালে ইতালিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ক্লাবে জাপানের সশস্ত্র গোষ্ঠী রেড আর্মির গাড়ি বোমা হামলার কথা জানা যায়।

যে ঘটনায় কারাদণ্ড হয় ফুসাকো শিজেনেবুর

১৯৭৪ সালে নেদারল্যান্ডসের হেগে ফরাসি দূতাবাসে হামলার দায়ে কারাদণ্ড হয় ফুসাকো শিজেনেবুর। রেড আর্মির তিন সশস্ত্র যোদ্ধা ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ও আরও কয়েকজনকে জিম্মি করে রেখেছিলেন প্রায় ১০০ ঘণ্টা। ফ্রান্স রেড আর্মির এক সদস্যকে মুক্ত করে দেওয়ার পর গোষ্ঠীটি সিরিয়ায় চলে যায়। এর পর অবসান ঘটে সেই জিম্মিদশার।

যদিও হামলায় অংশ নেননি ফুসাকো শিজেনেবু। তারপরও ২০০৬ সালে জাপানের একটি আদালত তাকে হামলার সমন্বয়কারী হিসেবে অভিযুক্ত করে ও তাতে জড়িত থাকার অভিযোগে শিজেনেবুকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন।

তবে রায়ের পাঁচ বছর আগেই বিচার চলাকালে ফুসাকো শিজেনেবু রেড আর্মি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে আইনের মধ্যে থেকে নতুন করে লড়াই শুরুর ঘোষণা দেন তিনি।

মুক্ত হওয়ার পর শিজেনেবু বলেন, “আমরা আমাদের যুদ্ধকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিরপরাধ মানুষদের জিম্মি করার মাধ্যমে তাদের ক্ষতি করেছি। কিন্তু তারা ছিল আমাদের কাছে অপরিচিত।”

এর আগেও তেল আবিবের লোদ বিমানবন্দরে হামলায় নিহতের ঘটনার জন্য অনুশোচনা করেন শিজেনেবু। সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর