সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন রবার্ট বোল্টোন বাইরের দেশে অভ্যুত্থান পরিকল্পনায় সহায়তা করার বিরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। সিএনএনে জ্যাক ট্যাপের সঙ্গে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের অভ্যুত্থান চেষ্টা নিয়ে আলোচনার সময় জন বোল্টন এই স্বীকারোক্তি দেন।
জন বোল্টন বলেন, ট্রাম্প ৬ জানুয়ারি সতর্কতার সঙ্গে একটি পরিকল্পিত অভ্যুত্থান সফল করার মতো যথেষ্ট যোগ্য ছিলেন না। এ সময় তিনি বলেন, ওই অভ্যুত্থান পরিকল্পনায় কেউ সহায়তা করেননি। অন্য দেশগুলোতে— অভ্যুত্থান করতে হলে বহু কাজ করতে হয়। কিন্তু ট্রাম্প যেটা করেছেন, সেটা তা না।
তখনা উপস্থাপক জ্যাক ট্যাপ তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি (বোল্টন) কোন চেষ্টার কথা বলছেন। জবাবে ভেনিজুয়েলার কথা উল্লেখ করার আগে বোল্টন বলেন, আমি সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে যাচ্ছি না। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। এখানে আমাদের কিছু করার ছিল না। কিন্তু অবৈধভাবে নির্বাচিত একজন প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিল বিরোধী নেতা। তারা ব্যর্থ হয়েছে।
২০১৯ সালে জন বোল্টন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন। তখন প্রকাশ্যে তিনি ভেনিজুয়েলার সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে উৎখাতে চেষ্টা করেছিলেন। মাদুরোকে উৎখাতে ভেনিজুয়েলার সামরিক বাহিনীর সহায়তা চেয়েছিলেন বিরোধী নেতা জন গুয়াইদো। আর এতে পেছন থেকে সমর্থন দেন জন বোল্টন।
জন গুয়াইদোর অভিযোগ ছিল, প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাদুরোর পুনর্নির্বাচন অবৈধ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব হয়নি।
বোল্টনকে সিএনএনের সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ভেনিজুয়েলা ছাড়াও আরও অনেক দেশ আছে, যাদের কথা আপনি আমাকে এখানে বলছেন না। জবাবে তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত, তেমন অনেক আছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশে হস্তক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের অতীত রেকর্ড আছে। কিন্তু বাইরের দেশে অস্থিরতা উসকে দেওয়ার ভূমিকা নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের স্বীকারোক্তি খুবই বিরল।
সাবেক মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার এমন স্বীকারোক্তি নিয়ে বিবিসির সাংবাদিক ডিকেনস ওলোয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সর্বোচ্চ পদগুলোর একটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন বোল্টন। হোয়াইট হাউসের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। বাইরের দেশে অভ্যুত্থান উসকে দেওয়া নিয়ে তিনি কার্যত গর্ব করলেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল