ইউক্রেনের দখল হওয়া গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থান করা রুশ সেনাদের বসবাসের ঠিকানা জানাতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নাগরিকদের কাছে—‘রুশ সেনারা কোথায় বসবাস করছেন এবং স্থানীয় কোন ব্যক্তিরা তাদের সহায়তা করছে’ সেই তথ্য জানতে চেয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ অভিযান শিরোনামে আক্রমণ শুরু করে রুশ বাহিনী। যুদ্ধের পাঁচ মাসে বন্দরনগরী মারিউপোল, পূর্বাঞ্চলের দোনবাসহ বেশ কিছু অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।
শনিবার এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা অধিদপ্তর ইনারহোদার অঞ্চলের মানুষদের কাছে রুশ সেনাদের অবস্থান জানানোর আহ্বান জানিয়েছে। এই অঞ্চলে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শক্তিকেন্দ্র অবস্থিত।
বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, দখলকারী সেনাদের ঘাঁটি এবং তারা ঠিক কোথায় অবস্থান করছে তার ঠিকানা জরুরি ভিত্তিতে আমাদের জানান। বিবৃতিতে স্থানীয় যারা রুশ সেনাদের সহায়তা করছে তাদের বিস্তারিত পরিচয়ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার সেনার মার্চের শুরুর দিকে ইউক্রেনের ইনারহোদার অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেই। মে মাসে এই শহরে রাশিয়ার নিয়োগকৃত প্রধান কর্মকর্তা বিস্ফোরণে আহত হন। ক্রেমলিন এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী আক্রমণ’ হিসেবে উল্লেখ করে।
শনিবারের বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘চলুন, একসঙ্গে আমরা মাতৃভূমি থেকে দখলকারীদের বিতাড়িত করি। রুশ সেনাদের তথ্য সরাসরি কল করে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ অথবা সিগন্যাল মেসেজিংঅ্যাপে লোকেরা তথ্য দিতে পারবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের ইনারহোদার শহরে যুদ্ধের পূর্বে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বসবাস করত। শহরের কাছে অবস্থিত দুটি প্রধান শক্তিকেন্দ্রে অনেক বাসিন্দা চাকরি করেন। এই শক্তিকেন্দ্রের একটির নাম ‘জাপোরিঝিয়া স্থাপনা’ যেটা ইউরোপের সর্ববৃহৎ পরমাণু শক্তি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সূত্র: আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল