পার্টির চাঁদা দেওয়া প্রায় দেড় লাখ সদস্যের ভোটে নির্বাচিত লিজ ট্রাসই হচ্ছেন ব্রিটেনের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে তুলনা করা হচ্ছে আয়রন লেডিখ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককে পেছনে ফেলে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। ঋষি সুনাক ও লিজ ট্রাসের মধ্যে ভোটের ব্যবধান প্রায় ২১ হাজার। লিজ ট্রাস ৮১ হাজার ৩২৬ ও রিশি সুনাক পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩৩৯ ভোট।
বিজয়ের পর ব্রিটেনের অর্থনীতি বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন লিজ ট্রাস। তিনি ট্যাক্স কমানো এবং অর্থনীতি সম্প্রসারণে তার সাহসী পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঋষি সুনাককেও ধন্যবাদ দেন লিজ ট্রাস। জ্বালানি বিল বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, সংকটের সময় শুধু বিল নয়, দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহ ইস্যু (সাপ্লাই) নিয়ে কাজ করা হবে। ব্রিটিশ জনগণ যা চায়, তার দলও তেমনটি চিন্তা করে।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে নিয়ে লিজ ট্রাস বলেন, তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, ব্রেক্সিট শেষ করেছেন এবং করোনার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেছেন। যুক্তরাজ্যের কার্লাইল থেকে ইউক্রেনের কিয়েভ পর্যন্ত বরিস জনসনের প্রশংসা আছে।
উল্লেখ্য, ৪৬ বছর বয়সী লিজ ট্রাস উত্তর ইংল্যান্ডের বাসিন্দা। পুরো নাম ম্যারি এলিজাবেথ ট্রাস। বিয়ে করেছেন ২০০০ সালে। দুই সন্তানের জননী। তার জন্মস্থান উত্তর ইংল্যান্ডে। যেখানে লেবার পার্টি শক্তিশালী। ট্রাস নিজেকে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট বলে দাবি করেন। যা তার কেন্দ্রীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সূত্র : সিএনএন ও দ্য গার্ডিয়ান।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক