লন্ডন সময় দুপুর ২টা বাজে। রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ হয়ে মরদেহ ঠিক দুপুর ১টায় যাত্রা শুরু করে উইন্ডসর ক্যাসেলের দিকে। এই শেষ যাত্রার আয়োজন সারা পৃথিবীতে লাইভ দেখছেন ৪১০ কোটি মানুষ। এটা টেলিভিশনের সম্প্রচারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্কে সম্প্রচার।
বিকালে ৩টা ৬ মিনিটে অন্তিম যাত্রা পৌঁছে যাবে উইন্ডসর ক্যাসেলে। সেখান থেকে ঠিক ৩টা ৫৩ মিনিটে মরদেহবাহী কফিন পৌঁছাবে সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে। সেখান থেকে মরদেহ নামিয়ে নেয়া হবে চ্যাপেলের উত্তর অংশে।
উইন্ডসর ক্যাসেলের ডীন শেষ প্রার্থনা ও মৃতদেহের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন।
রানির মরদেহ নামানো হবে রয়েল ভল্টে। এরপর রানির সন্তান রাজা তৃতীয় চার্লসসহ পরিবারের সকল সদস্যদের বের করে দেয়া হবে। ঠিক সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে রানির মরদেহ ঢেকে দেয়া হবে রয়েল ভল্টে। এরমধ্য দিয়েই শেষ হবে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া।
এর আগে সকাল ১০টা ৪৪ মিনিটে মরদেহ ওয়েস্টমিনিস্টার হল থেকে বের হয়ে যাত্রা শুরু করে ওয়েস্ট মিনিস্টার এ্যাবেতে পৌঁছায়। এই যাত্রাটির সম্মুখভাগে ছিল রয়েল নেভী। পেছনে ছিলেন রাজা তৃতীয় চার্লস, প্রিন্সেস এ্যান, প্রিন্স এন্ড্রু ও প্রিন্স এডওযার্ড। সঙ্গে ছিলেন প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারী। ১০টা ৫২ মিনিটে রানির মরদেহবাহী কফিন পৌঁছায় ওয়েস্টমিনিস্টার এ্যাবেতে। এসময় ওয়েস্টমিনিস্টার এ্যাবেতে আর্চবিশপ অব ক্যান্টাবারী জাস্টিন ওয়েলবাই যোগ দেন। কফিন রাখা হয় উঁচু বেদীতে।
ঠিক ১১টায় শুরু হয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মূল পর্ব। এই পর্ব পরিচালনা করেন, ওয়েস্টমিনিস্টারের ডীন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও কমনওয়েলথ সেক্রেটারী প্যাট্রেসিয়া স্কটাল্যান্ড বাইবেল থেকে পাঠ করেন।
এরপর আর্চবিশপ অব ক্যান্টাবারী জাস্টিন ওয়েলবাই ধর্মের উপদেশ বানী পড়ে শুনাবেন। ঠিক ১১টা ৫৫ মিনিটে শেষ হয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর্ব।
এরপর ৫ মিনিট মিউজিকের মধ্য দিয়ে সামরিক বাহিনী ও যুদ্ধকালীন সময়ে রানির অংশগ্রহণ ও অবদান স্মরন করা হয়। ঠিক ১২টায় ২ মিনিট নিরবতা পালন হয় সারাদেশে।
একপরই বেঁজে উঠে জাতীয় সংগীত। ওয়েলিংটন থেকে মরদেহ গাড়িতে তোলা হবে। এখান থেকে যাত্রা শুরু করবে উইন্ডসর ক্যাসেলের দিকে। রানির মরদেহ এখন উইন্ডসর ক্যাসলের পথ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত