বরিস জনসন সরে যাওয়ার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে নামেন তার দফতরের দুই প্রভাবশালী মন্ত্রী লিজ ট্রাস ও ঋষি সুনাক। গত ৫ সেপ্টেম্বর ঋষিকে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ। ঋষি হার স্বীকার করে হাততালির মাধ্যমে লিজকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। অক্টোবরে এসে সেই চিত্রটা উল্টে গেছে। এরইমধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন লিজ।
লিজ সরে যাওয়ার পর আলোচনায় চলে আসেন বরিস জনসন। তবে আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও দলের এমপির সমর্থন না পেয়ে কিংবা চাপে পড়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতা থেকে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে ঋষির প্রতিদ্বন্দ্বী রইল বাকি একজন। তিনি সাবেক প্রতিরক্ষমন্ত্রী পেনি মরডান্ট। কিন্তু ঋষিই পরিষ্কার ফেভারিট। সবকিছু অনুকূলে থাকলে আজ সোমবারই সাবেক অর্থনমন্ত্রী ঋষিকে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হতে পারে। যদি তা নাও হয় আগামী শুক্রবারের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী পাবে ব্রিটেনবাসী। সাত সপ্তাহের মাথায় তিনজন প্রধানমন্ত্রী দেখবেন তারা।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে লিজ যেসব অঙ্গীকার করেছিলেন ঋষি তার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। ক্ষমতাগ্রহণের পর সেসব অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে না পেরে অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন লিজ। নতুন অর্থমন্ত্রী নিয়োগ দিলেও শেষরক্ষা হয়নি। শেষে চাপের মুখে তিনিই পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ঋষি অথবা পেনি; যিনিই নতুন প্রধানমন্ত্রী হন তাকে পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। নেতৃত্বের লড়াইসহ নানা কারণে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে সৃষ্টি হওয়া বিভক্তি নিয়ে বিরোধী দলতো বটেই, কনজারভেটিভ নেতা-কর্মী, এমনকি সমর্থকরাও বিরক্ত। নতুন নেতাকে এ বিভক্তি নিরসন করে দলের ঐক্যবৃদ্ধি করতে হবে। মুদ্রাস্ফীতি, পাউন্ডের দরপতন, জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্রিটিশরা বিপর্যস্ত। নতুন প্রধানমন্ত্রীকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এসব মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হলেও নতুন প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্য হয়তো পূর্বসূরীদের মতোই হবে।
সূত্র : বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা