ইউক্রেনকে সমর্থন না করে ইসরায়েলের নিরপেক্ষ থাকায় চটেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার দাবি, এতে ইরানের সাথে রাশিয়ার সামরিক সহায়তা আরও জোরদার হবে।
রাশিয়ার আক্রমণ রুখতে সোমবারও জেলেনস্কি ইসরায়েলের কাছে আয়রন ডোম অ্যান্টি মিসাইল প্রযুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
জেলেনস্কির দাবি, যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে ইউক্রেনের সেনারা পরাজিত করছে। তবে আয়রন ডোম ও আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় ইউক্রেনের আকাশকে রক্ষা করা যাচ্ছে না।
তবে সোমবারও ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে কোনো ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করবে না। তবে ইউক্রেনকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে তেলআবিব।
জেলেনস্কির মতে ইসরায়েল রাশিয়াকে ক্রুব্ধ করতে চাইছে না। আর ইসরায়েলের এই নীতিই মস্কো ও তেহরানের ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়াবে।
জেলনস্কির দাবি নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাওয়ায় রাশিয়া অন্যের দিকে ঝুঁকছে। অন্য দেশে থেকে এই ঘাটতি মেটাতে চাইছে। সেখানেই এগিয়ে এসেছে ইরান। জেলনস্কির ভাষায়, ‘তারা এটা (ক্ষেপণাস্ত্র) ইরানে খুঁজে পেয়েছে। আপনাদের জন্য আমার একটা প্রশ্ন আছে। ইরানের এই ঋণ রাশিয়া কীভাবে শোধ করবে, আপনার মত কী বলছে? ইরান কী কেবল অর্থ চাইবে? সম্ভবত না, রাশিয়া ইরানের পরমাণু প্রকল্পে সহায়তা করবে।’
জেলেনস্কি আরও দাবি করেছেন, ইরান থেকে ২ হাজার শাহেদ-১৩৬ কামিকাজে ড্রোন চেয়েছে রাশিয়া। তিনি বলেন, ‘ইরানি ড্রোনের বিরক্তির শব্দ আমাদের আকাশে প্রতি রাতে শোনা যায়। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, রাশিয়া ২ হাজারের মতো শাহেদ ড্রোন ইরান থেকে অর্ডার করেছে।’
যদিও ইরান রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইরান ইউক্রেনে হামলা চালানো কোনো অস্ত্রই সরবরাহ করেনি। ইরান চায় এই সংঘাত বন্ধ হোক।
সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল