জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে জর্ডানে সম্প্রতি প্রতিবাদ সংঘটিত হয়েছে। মানুষের দুর্দশা লাঘবের পরিবর্তে কর্তৃপক্ষ কঠোর হাতে সেটা দমন করেছে।
গত ৪ ডিসেম্বর দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়। জর্ডানের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভ দমাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। আন্দোলনের সংগঠক এবং যারা এতে সংহতি জানান, তাদের গ্রেফতার করে। রাজধানী আম্মানের ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে মান প্রদেশে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ সংঘটিত হয়।
বর্তমানে জর্ডানে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৬ শতাংশ। তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৫০ শতাংশ। দারিদ্র্য বেড়েই চলেছে।
২০১৮ সালে সরকারের রাজস্ব নীতি ও কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে জর্ডানে বড় আকারে বিক্ষোভ হয়েছিল। এতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। জনবিক্ষোভে সরকার পতনের পর অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু জ্বালানিতে ভর্তুকি দেওয়ার মতো অর্থ তাদের হাতে নেই। রেকর্ড পরিমাণ বাজেটঘাটতির মুখে পড়েছে সরকার। বৈদেশিক সাহায্যও কমে এসেছে। জ্বালানিতে এর মধ্যে ৭০৫ মিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। এ খাতে আর এক ডলারও খরচের সামর্থ্য নেই।
সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, জ্বালানির দাম বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিলিয়ে প্রতি মাসে সমন্বয় করা হবে। অনেকের প্রত্যাশা ছিল, জ্বালানির দাম কমবে। সম্ভবত এ ঘটনাই সাম্প্রতিক বিক্ষোভের অন্যতম কারণ। সূত্র: এশিয়ান টাইমসের মতামত কলাম থেকে নেওয়া
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল