অর্থনৈতিক দুর্দশায় বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। সংকট কাটাতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে একটি পথই খোলা দেখছেন । তাহলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নেওয়া।
বিক্রমাসিংহে শুক্রবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে শ্রীলঙ্কার সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ইউনিয়নের নেতা ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে তারা দেশটির অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, দেশের অর্থনীতি যে ধসে পড়েছে, সে সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত আছি। আমরা সবাই জানি, দেশের মানুষ কতটা কষ্টে আছে। আমরা কর্মসংস্থান কমে যেতে দেখেছি। মূল্যস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে। ফলে মানুষের জীবনযাপনে অনেক পরিবর্তন এসেছে।’
দেশের সংকটময় এমন পরিস্থিতির কারণ খুঁজতে আলোচনায় বসার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করেন বিক্রমাসিংহে। তিনি বলেন, আমাদের সামনে একটি মাত্র পথ খোলা আছে, সেটি হলো আইএমএফের সহায়তা চাওয়া। এ ছাড়া আমরা সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব না।
বিক্রমাসিংহে জানান, আইএমএফের সঙ্গে তার সরকার সফলভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। একটি দেশ হিসেবে শ্রীলঙ্কা আইএমএফের আস্থা অর্জন করতে সফল হয়েছে।
বিক্রমাসিংহে বলেন, ঋণ পুনর্গঠন প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনীতিকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে জাপানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাদের। এর আগে শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দেওয়া প্রধান তিনটি দেশের একটি জাপান। বাকি দুটি দেশ হলো চীন ও ভারত।
বৈঠকে ইউরোপ ও আমেরিকায় বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে আসার বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বলেন, এমন পরিস্থিতে আগামী বছর নাগাদ আমাদের রপ্তানি কমে যেতে পারে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের পর্যটনশিল্পকে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তবে চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির কিছুটা অগ্রগতি হবে বলে মনে করছেন বিক্রমাসিংহে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল