তুরস্ক ও সিরিয়ায় জীবনঘাতী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনও চলছে উদ্ধার কাজ। স্বজনকে জীবিত ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন অনেকে।
তবে ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ায় আশার সলতে নিভতে শুরু করেছে হতাশায়। কারণ তীব্র শীত ও বৈরি আবহাওয়ায় ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়া মানুষেদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের দেওয়া হিসেবে মতে, এরইমধ্যে দেশটিতে ১৩ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। সিরিয়ায়ও মৃতের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি। তবে অনেকেই নিখোঁজ থাকায় নাটকীয়ভাবে এই সংখ্যা বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার আল জাজিরার রিপোর্টার রাসুল সর্দার জানিয়েছেন, এখনো কাহরামানমারাস এলাকার একটি হোটেলে ৬০ জনের বেশি মানুষ ধ্বংসস্তুপে আটকে আছেন। তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে গতকাল রাত থেকে কাউকে আর জীবিত উদ্ধার করতে দেখা যায়নি। তবে বের করে আনা কিছু মরদেহ একেবারে ঝলসে গেছে। সেখানে আগুন লেগেছিল, তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। উদ্ধারকারীদের কাজ আরও কঠিন হয়ে উঠছে।’
লোকবল সঙ্কটের কারণে অনেক এলাকাতেই উদ্ধার অভিযান আগাচ্ছে ধীরগতিতে। কোথাও কোথাও সাহায্যের আবেদনে নাকি সাড়াও মিলছে না।
তুরস্কের চেয়েও খারাপ অবস্থা যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায়। সেখানে যেমন তেমন কোনো ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাচ্ছে না। তেমন উদ্ধারাকজে অংশ নেওয়ার মতো যথেষ্ট জনবলও নেই।
সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের হেরমানের বাসিন্দা আয়াদ শাকির জানিয়েছেন, তিনি তার ভাইকে সন্ধান করছেন সোমবার থেকে।
আয়াদ বলেছেন, ‘আমরা চার জনকে বের করেছি গতকাল। তার তিন সন্তান ও স্ত্রীকে। এবার আমরা তার ছেলেকে উদ্ধার করতে এসেছি। যে আমার চাচাতো ভাই।
সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল