তুরস্কের আনতাকিয়া শহরের ব্যবসায়ী মালিকরা তাদের দোকানের পণ্যদ্রব্য লুটপাট এড়াতে দোকান খালি করছেন। ইউকসেল উজুন নামে একজন ব্যবসায়ী একটি ইলেকট্রনিক্স দোকানের মালিক। তিনি চার্জার এবং ফোনের খাপসহ পণ্যদ্রব্যের বাক্সগুলো কয়েকজনের সাহায্যে দুটি ট্রাকে লোড করছিলেন। এই ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের দোকান ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রতারক এবং চোরেরা লুট করেছে। তারা যা পেরেছে তা নিয়ে গেছে আর যা রেখে গেছে এখন শুধু তা-ই আছে।
উজুন বলেন, সুপারমার্কেট, ফার্মেসি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ব্যবসা তিনি ভেঙে পড়তে দেখেছেন। এই ব্যবসায়ী বলেন, তারা সর্বত্র লুটপাট করেছে। রাস্তার ধারে বাজার, জুতার দোকান… আমি তাদের ফার্মেসি ভাঙতে দেখেছি। তিনি তার পণ্যদ্রব্য শহরের বাইরে সংরক্ষণ করবেন বলে জানান।
ইউকসেল উজুন বলেন, রবিবার শহরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতি ছিল। তবে ভূমিকম্পের প্রথম কয়েক দিন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ছিল না।
তিনি বলেন, এখানে অবস্থান করা পুলিশ এবং সৈন্যরা আমাদের মতো একই অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে। সুতরাং, প্রথম কয়েক দিন তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আমরা তা প্রত্যাশা করতে পারি না।
স্টোর ম্যানেজার বারকান ইয়োগুর্টকুওগ্লু বলেন, প্রথম দিনগুলোতে সাহায্য এবং সরবরাহ আসেনি। সুতরাং, সুপারমার্কেট লুট হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। তিনি বলেন, ‘প্রথম কয়েক দিন, প্রত্যেকেই সুপারমার্কেট লুট করেছে। কারণ, তাদের দরকার ছিল। আমি একটি সুপারমার্কেট লুট করেছি কারণ আমার বাচ্চাদের জন্য ডায়াপার দরকার ছিল।’
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় কমপক্ষে ৮ লাখ ৭০ হাজার মানুষের জরুরি গরম খাবার সহায়তা দরকার। শুধু সিরিয়াতেই ৫৩ লাখের বেশি মানুষ গৃহহারা হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল