রাজনৈতিক সংকট বেড়েই চলেছে এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে। সংকট যতই বাড়ছে ততই দেশটিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে সামরিক আইন জারির শঙ্কা। তবে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান দাবি করেছেন দেশটিতে সামরিক আইন জারি সম্ভব নয়।
এমনকি সংবিধান না থাকলে কোনও দেশও আর থাকে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেন ইমরান খান। সেখানে তিনি বলেন, দেশে সামরিক আইন জারি সম্ভব নয়। জনগণ মেনে নেবে কি না সেই পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সামরিক আইন জারি করা হয়।
বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার আরও বলেন, “জনগণ যদি আপনার সঙ্গে না থাকে, তাহলে আপনি কীভাবে সামরিক আইন জারি করবেন।”
পিটিআই প্রধান বলেন, যদি ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন না হয় তবে তারা আর সংবিধান অনুযায়ী চলবেন না। তার ভাষায়, “যদি সংবিধান (কার্যকর) না থাকে, তাহলে কোনও দেশও আর থাকে না।”
তিনি বলেন, তারা (সরকার) অপেক্ষা করছিল এই ভেবে যে, পিটিআই দুর্বল হয়ে যাবে অথবা ইমরান খানকে গ্রেফতার বা হত্যা করা হবে। তবে পরিস্থিতি খুবই খারাপ এবং নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে মাফিয়ারা একসঙ্গে বিচার বিভাগকে ভাগ করার চেষ্টা করছে।
পাকিস্তানে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইমরান খান বলেন, পুলিশ রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেফতার করছে এবং পরে তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষ এখন সচেতন এবং নিজ স্বার্থে পরিস্থিতি ঘোলাটে করা এখন অসম্ভব।
ইমরান খান বলেন, আবার ক্ষমতায় গেলে তিনি শাসন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবেন এবং আমলাতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থায় সংস্কার আনবেন।
তার ভাষায়, “আমি নেলসন ম্যান্ডেলার মতো সত্য ও পুনর্মিলনের ধারণা গ্রহণ করব।”
ইমরান খান বলেন, পিটিআই যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তবে পাকিস্তানে বিনিয়োগ আনার নতুন উপায় খুঁজে বের করা হবে এবং এক্ষেত্রে প্রবাসী পাকিস্তানিদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, তারা ব্যয় হ্রাস করবেন এবং শাসন ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য সমস্ত প্রচেষ্টাকে কাজে লাগাবেন। সূত্র: দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল
বিডি প্রতিদিন/কালাম