দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট দপ্তর দাবি করেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া কিছু নথি বানোয়াট। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাক্ষাতের পর বিষয়টি নিয়ে তারা একমত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের কিছু নথি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু নথি ‘অতি গোপনীয়’। রয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রের মানচিত্র, তালিকা ও ছবি। যুদ্ধে ইউক্রেনকে কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সহায়তা করতে পারে, তার বিস্তারিত কৌশলও রয়েছে এসব নথিতে।
এই নথিতে দক্ষিণ কোরিয়ার জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কথোপকথন ফাঁস হয়েছে। ওই আলাপে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে অস্ত্র চেয়েছে।
বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ ছাড়াই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আড়িপাতার অভিযোগ নিয়ে ফাঁস হওয়া নথি সম্পর্কে, দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সম্মত হয়েছেন যে, নথির উল্লেখযোগ্য অংশ ভুয়া।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়নি, নথির কোনো সুনির্দিষ্ট অংশ মিথ্যা নাকি সব অংশই মিথ্যা।
এ বিষয়ে সিএনএন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দপ্তরে মন্তব্য জানতে চেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফাঁসকৃত তথ্য বাস্তব।
এদিকে পেন্টাগন বলছে, তারা নথি ফাঁসের ঘটনা তদন্ত করছেন। সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্রিস মেগার বলেন, নথি কীভাবে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ল ওয়াশিংটন তা এখনও তদন্ত করছে। তিনি বলেন, সংবেদনশীল গোপন নথি শুধু আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য নয়, মানুষকে প্রাণহানীর পথেও নিতে পারে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ব্যাপক সংবেদনশীল গোপন নথি কীভাবে ফাঁস হলো তা তদন্ত করছে। ওই নথিতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা তাদের বন্ধু, এবং শত্রুদেশে কীভাবে গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় সে বিষয়ে তথ্য রয়েছে।
খবর অনুসারে, তথ্য ফাঁসের পেছনে কে আছে সে সম্পর্কে খুব সামান্যই জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং এ ধরনের সংবেদনশীল নথির প্রবাহের নিরাপত্তা শক্ত করেছে। সূত্র: রয়টার্স
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল