মোদি পদবি ঘিরে মন্তব্যে মানহানি মামলায় স্বস্তি মিললো না কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর।
দুই দিনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক অন্তর্বর্তীকালীন কোনো রায় দিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, গরমের ছুটির পর হাইকোর্ট খুললে তখন এই মামলার রায় দেবেন।
আগামী ৫ মে গুজরাট হাইকোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হচ্ছে। এক মাস পর ৫ জুন হাইকোর্ট খুলবে। বিচারপতি প্রচ্ছক বলেন, ‘এই ছুটির মধ্যে আমি মামলার রায় লিখব। ছুটি শেষে আদালত খুললে রায় ঘোষণা করব।’ফলে আগামী এক মাস লোকসভার সদস্যপদ ফেরত পাচ্ছেন না রাহুল গান্ধী। হাইকোর্ট তার সাজা স্থগিত না করলে শেষ উপায় সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, এর আগে এই ফৌজদারি মানহানি মামলায় নিম্ন আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে। সেই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারির আবেদন নিয়ে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল গান্ধী। সেই বিষয়ে নিম্ন আদালতের রায়ের সাপেক্ষে মামলায় গুজরাট হাইকোর্ট তার রায় স্থগিত রাখে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে কর্ণাটকের কোলারে এক জনসভায় রাহুল গান্ধী মোদি পদবি নিয়ে একটি মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যে সাপেক্ষে গুজরাট ও পাটনায় মানহানি মামলা দায়ের হয়। সদ্য গুজরাটের সুরাট কোর্টে রাহুলের বিরুদ্ধে সেই দায়ের হওয়া মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে কোর্ট। এর পাশাপাশি সাজা হিসেবে ১৫ হাজার টাকা ও ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয় কোর্ট। যদিও রাহুল গান্ধী তখন ১ মাসের জামিন পান। সেই জামিনের মেয়াদ বর্ধিত হয় পরে আইনি পথে। এরপর এই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারির আবেদন জানান রাহুল। সেই স্থগিতাদেশের মামলায় রায় এদিন স্থগিত রেখেছে কোর্ট।
প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর তরফে এদিন গুজরাট কোর্টে জবাব পেশ করেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি। মোদি পদবি ঘিরে মানহানি মামলায় আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি রাহুলের তরফে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন গুজরাট কোর্টে। কোর্টে সেই আবেদন খারিজ করে বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের বেঞ্চ।
রাহুল গান্ধীর আইনজীবী কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বিচারপতিকে অন্তর্বর্তীকালীন রায় দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু বিচারপতি তা মানেননি। তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম, ছুটি শুরু হওয়ার আগেই সবার সব সওয়াল আমি শুনব। গ্রীষ্মের ছুটিতে আমি রায় লিখব।’
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত