সালমান রুশদি, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। গত বছরের ১২ আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি। তাতে একটি চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন তিনি। একটি হাতও অকেজো হয়ে গেছে স্থায়ীভাবে। জখম হয়েছে ঘাড়ের স্নায়ুও। তবুও ভেঙে পড়তে রাজি নন প্রখ্যাত এই লেখক। আক্রান্ত হওয়ার নয়মাস পরে প্রকাশ্যে এসে এই বার্তা দিলেন তিনি।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেই শহরেই একটি অনুষ্ঠানে আবার জনসমক্ষে আসেন বুকারজয়ী সাহিত্যিক। বলেন, “সন্ত্রাস যেন আমাদের ভয় পাইয়ে দিতে না পারে। সহিংসতা যেন চুপ করিয়ে না দেয়। লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। লড়াই চলবে।”
ইরানের বর্তমান ধর্মীয় নেতা আলি খোমেইনির পূর্বসূরি আয়াতুল্লাহ খোমেইনির জামানায় উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ লেখার ‘অপরাধে’ আশির দশকে রুশদির বিরুদ্ধে ‘হত্যার ফতোয়া’ জারি করা হয়েছিল। মৌলবাদী হামলার ভয়ে এক দশকেরও বেশি সময় আত্মগোপনে ছিলেন রুশদি। কিন্তু তবুও ‘নজর’ সরেনি হামলাকারীদের। গত আগস্টে হাদি মাতার নামে এক যুবক ছুরি দিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চে কুপিয়েছিলেন তাকে। হাদি এখন আমেরিকার জেলে বন্দি। কিন্তু তার নামে বিপুল অংকের পুরস্কার ঘোষণা করেছে ইরান সরকার।
বিডি প্রতিদিন/কালাম