ভারতের ওড়িশা রাজ্যে তিনটি ট্রেনের পরস্পরের সাথে সংঘর্ষে অন্তত ২৬১ জন নিহত হয়েছেন। আরও প্রায় ৯০০ জনকে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে একটি যৌথ পরিদর্শন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে সিগন্যালের ত্রুটিকেই।
ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে উঠে এল সিগন্যালের ত্রুটি। প্রাথমিক তদন্তের পর রেলের পক্ষ থেকে একটি যৌথ পরিদর্শন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ওই যৌথ রিপোর্টে সিগন্যালের ত্রুটির কথাই বলছেন রেল কর্মকর্তারা। তবে এটি প্রাথমিক রিপোর্ট। বিস্তারিত তদন্তের পর দুর্ঘটনার কারণ আরও স্পষ্ট হবে।
ওই যৌথ পরিদর্শন রিপোর্টে বলা হয়েছে, আপ মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি সেই লাইনে ঢোকেইনি। ট্রেন ঢুকেছিল লুপ লাইনে। সেখানে আগে থেকে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। তার সঙ্গে সংঘর্ষে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, এর মাঝে ডাউন লাইন দিয়ে বালেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
কিন্তু মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল পাওয়া সত্ত্বেও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কী ভাবে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে সিগন্যাল দেওয়ায় কোনও গোলমাল হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক