নারীদের ড্রেস কোড যাচাই করতে আবারও রাস্তায় নামল দেশটির নীতি পুলিশ।
প্রকাশ্য জায়গায় মেয়েদের মাথায় হিজাব পরতেই হবে। নাহলে নীতি পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। ইরানে জানিয়ে দিল পুলিশ। রবিবারই ভ্যানে করে পুরুষ ও নারী নীতি পুলিশকে তেহরানে টহল দিতে দেখা গেছে।
পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নীতি পুলিশের সদস্যরা গাড়িতে এবং হেঁটে রাস্তায় ঘুরবেন। ড্রেস কোড মানা না হলে তারা সাবধান করে দেবেন, প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবেন। যারা আইন ভাঙবেন তাদের ধরে বিচারবিভাগের কাছে পেশ করা হবে।মাহসা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যুর ১০ মাস পরে এই নির্দেশ এল। ড্রেস কোড অমান্য করায় মাহসাকে পুলিশ ধরেছিল এবং তাদের হেফাজতে থাকার সময় মাহসার মৃত্যু হয়। তারপরই ইরানজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ হয়। রীতিমতো শক্তিপ্রয়োগ করে বিক্ষোভ থামানো হয়। ওই সময় পাঁচশজন মারা যায়। ২০ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপরেও মেয়েরা নীরব প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। গত প্রায় দশ মাস নীতি পুলিশকে রাস্তায় দেখা যায়নি। এমনকি এরকমও রটেছিল, নীতি পুলিশের আর কোনও অস্তিত্ব নেই। তবে সরকার বারবার জানিয়েছিল, ড্রেস কোড বদলায়নি। হিজাব পরাটা বাধ্যতামূলক। এবার আবার নীতি পুলিশের নজরদারি শুরু হল।
১৯৭৯ সালে এই ড্রেস কোড চালু করা হয়। তা ভঙ্গ করলে জরিমানা দিতে হবে, দুই মাস পর্যন্ত জেলও হতে পারে। এখন ইরানে অনেকেই এই ড্রেস কোডের বদল চাইছেন। সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা, ডয়েচে ভেলে
বিডি প্রতিদিন/কালাম