নাইজারে সেনা অভ্যুত্থানের সমর্থনে মিছিল করেছেন শত শত সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার রাজধানী নিয়ামেতে গণসমাবেশও করেছেন তারা।
গত সপ্তাহে নাইজারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনীর অভিজাত অংশ প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড ইউনিট। দ্রুত বেসরকারি প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা হলে নাইজারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলো।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার ৬৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে নাগরিক সমাজ সমিতির একটি জোটের ডাকে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে স্বাধীনতা স্কোয়ারে জড়ো হয়। এসময় অনেকের হতে রাশিয়ার পতাকা ছিল।বিক্ষোভকারীদের একজন ইসিয়াকা হামাদু বলেন, “এটি কেবলই আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে হয়েছে....আমরা কেবল ফরাসিদের চাই না, তারা ১৯৬০ সাল থেকে আমাদের লুট করে যাচ্ছে, তারা ওই সময় থেকে এখানেই আছে এবং কিছুরই পরিবর্তন হয়নি।”
নিয়ামির আরেকজন বিক্ষোভকারীর হাতে একটি প্ল্যাকার্ড ছিল যাতে লেখা ছিল, “নাইজার, রাশিয়া, মালি এবং বুরকিনা দীর্ঘজীবী হোক। ফ্রান্স, ইকোওয়াস, ইইউ পায়ের নিচে দলিত হোক।”
নাইজারে ফ্রান্সের প্রায় এক হাজার ৫০০ সেনা রয়েছে। এরা সাহেল অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/কালাম