দাবানলে তছনছ হয়ে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ। সোমবার সেখানে পৌঁছেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
দুই সপ্তাহ আগে ভয়াবহ দাবানলে শতাধিক প্রাণ গেছে হাওয়াইয়ে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছে ৮৫০ জনেরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার হাওয়াইয়ে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্টলেডি জিল বাইডেনও।
ঘটনাস্থল ঘুরে বাইডেন জানিয়েছেন, হাওয়াইকে নতুন করে গড়ে তোলা হবে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে হাওয়াইয়ের মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। তার কথায়, “যতদিন সময় লাগার লাগুক, আমি হাওয়াইয়ের মানুষের পাশে থাকব।”
একটি ১৫০ বছরের পুরনো বটগাছের পাশে গিয়ে দাঁড়ান বাইডেন। এত ভয়াবহ আগুনের পরেও গাছটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বাইডেন বলেন, “এত ঝড়ঝাপ্টার পরেও গাছটি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পুড়ে গেছে কিন্তু দাঁড়িয়ে আছে। এই গাছটি আসলে এক প্রতীক। জীবনের প্রতীক।”
হাওয়াইয়ের ঘটনার পর বাইডেন প্রশাসন নিয়ে প্রভূত সমালোচনা শুরু হয়েছিল আমেরিকায়। এত বড় ঘটনা নিয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রশাসন সময় লাগাচ্ছে, এই ছিল অভিযোগ। বাইডেন কেন নিজে সেখানে যাচ্ছেন না, এই প্রশ্ন বারবার উঠছিল। প্রায় দুই সপ্তাহ পর বাইডেন সেখানে পৌঁছালেন। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে টুইটও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তালিকা করে তাদের করণীয় কী তা জানিয়েছেন বাইডেন। পাশাপাশি বলেছেন, এই পরিস্থিতি সামলাতে সময় লাগবে, কিন্তু যত সময় লাগুক, প্রশাসন সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে।
স্থানীয় প্রশাসন বাইডেনকে জানিয়েছে, রাস্তায় নেমে কাজ করছেন অন্তত এক হাজার কর্মী। সাড়ে চারশ উদ্ধারকর্মী এখনও নিখোঁজদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
মরদেহ চেনা যাচ্ছে না
৮৫ শতাংশ এলাকা পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা যেতে পেরেছেন। তবে ১৫ শতাংশ এলাকায় পৌঁছাতে আরও কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে বলে জানানো হয়েছে। বস্তুত, পোড়া জঙ্গলের ভিতর থেকে যে দেহগুলো মিলছে, তা চেনা প্রায় অসম্ভব। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/কালাম