সম্প্রতি চাল রফতানিতে একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। প্রথমে বাসমতি ছাড়া অন্যান্য চালের রফতানি আগেই নিষিদ্ধ করা হয়। পরে সিদ্ধ চালের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং একদিন পর বাসমতি চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটি।
তবে এতসব বিধিনিষেধ পাশ কাটিয়ে ‘বিশেষ সম্পর্ক’ বিবেচনায় সিঙ্গাপুরে চাল রফতানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এ বিষয়ে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করবে দেশটি।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের সাথে ‘বিশেষ সম্পর্কের’ পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির ‘খাদ্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা মেটাতে’ চাল রফতানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।সিঙ্গাপুরে চাল রফতানির বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, “ভারত এবং সিঙ্গাপুরের মধ্যে খুব ঘনিষ্ঠ কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক, ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং জনগণের মধ্যে শক্তিশালী সংযোগ রয়েছে। এই বিশেষ সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে, সিঙ্গাপুরের খাদ্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা মেটাতে দেশটিতে চাল রফতানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।”
তিনি আরও বলেন, “এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আদেশ শিগগিরই জারি করা হবে।”
এদিকে, চলতি সপ্তাহে সিদ্ধ চালের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের একদিন পর বাসমতি চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। গত রবিবার দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে প্রতি টন বাসমতি চাল রফতানির মূল্য বেধে দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, প্রতি টন বাসমতি চাল এক হাজার ২০০ ডলার দরে বিক্রি করতে হবে। এই মূল্যসীমার কমে যেসব চাল রফতানির চুক্তি আগে করা হয়েছে, সেসব চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিতের নির্দেশও দেওয়া হয়।
দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় গত রবিবার এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, বাসমতি ছাড়া অন্যান্য চালের রফতানি আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাসমতির মোড়কে অন্যান্য চাল রফতানি করা হচ্ছে বলে সরকারি তদন্তে উঠে আসার পর নতুন এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যন্তরীণ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত এসব পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রফতানিকারক দেশ ভারত। বিশ্ববাজারে মোট চাল রফতানির প্রায় ৪০ শতাংশই যায় ভারত থেকে। চাল রপ্তানির শীর্ষে থাকা অন্য দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: দ্য হিন্দু, টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য ইকোনমিক টাইমস
বিডি প্রতিদিন/কালাম