ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি বলেছেন, তার বাহিনী ‘সাবালান’ ডেস্ট্রয়ারে ১২টি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। ইরানের যেকোনো রণতরীতে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের দিক দিয়ে এই সংখ্যা একটি রেকর্ড। ইরানের সাহান্দ ও সিনা ফ্রিগেটে আটটি করে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
গতকাল রবিবার তেহরানে বার্তা সংস্থা তাসনিমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যাডমিরাল ইরানি আরো জানান, ক্ষেপণাস্ত্র-সজ্জিত ডেস্ট্রয়ারটি শিগগিরই উন্মোচন করা হবে।
ইরানের নৌবাহিনীর ‘আলভান্দ’ শ্রেণির ফ্রিগেট হচ্ছে সাবালান। ১৯৮০’র দশকে ইরানের ওপর ইরাকের চাপিয়ে দেয়া আট বছরের যুদ্ধের সময় পারস্য উপসগারে মার্কিন নৌবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ডেস্ট্রয়ারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এর কয়েক বছরের মাথায় ১৫০০ টন ওজনের ডেস্ট্রয়ারটি সম্পূর্ণ দেশি বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে মেরামত করা হয়। এর আগে সাবালান ডেস্ট্রয়ার ৪টি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত ছিল এবং এটি ইরানের ১৩টি নৌবহরে অংশগ্রহণ করেছে।
ইরানের নৌবাহিনী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণির রণতরী নির্মাণ ও এসব রণতরীতে যুদ্ধাস্ত্র স্থাপনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক পানিসীমায় ট্যাংকার ও বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে নিরাপত্তা দিতে নিজের উপস্থিতি শক্তিশালী করেছে এই বাহিনী।
সম্প্রতি এক বক্তব্যে অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি বলেছিলেন, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি রণতরী ‘দেইলামান’ শিগগিরই ইরানের নৌবহরে যুক্ত হবে। ইরানের নৌবাহিনী অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত