সময় যত এগোচ্ছে, ততই আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের ভয়াবহতা প্রকট হচ্ছে। শনিবার (০৮ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে রাত পর্যন্ত জোরাল ভূমিকম্পের পর ৭ বার আফটার শকের সাক্ষী হয়েছে পশ্চিম আফগানিস্তান। যার জেরে বিস্তীর্ণ এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি। পরপর এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৩২০। গুরুতর আহত হয়েছেন শত শত মানুষ। নিহত ও আহতের এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার (০৭ অক্টোবর) শক্তিশালী ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পশ্চিম আফগানিস্তান। এরপর ৫ বার আফটার শক হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)-এর তথ্য অনুসারে, পশ্চিম আফগানিস্তানে ছয়টি ভূমিকম্প হয়েছে এবং যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ছিল ৬.৩ মাত্রার। সংস্থাটি বলছে, শনিবার আঘাত হানা ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে। এই ভূমিকম্পের পর দেশটিতে ৫ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৭, ৬ দশমিক ৩, ৫ দশমিক ৯ ও ৪ দশমিক ৬ মাত্রার পাঁচটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিম আফগানিস্তানের সর্ববৃহৎ শহর হেরাট। অনেক জায়গায় ভূমিধস হয় এবং বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। কম্পনের তীব্রতা জানিয়ে হেরাটের ৪৫ বছর বাসিন্দা বশির আহমেদ বলেন, আমরা অফিসে ছিলাম। হঠাৎ করেই অফিস বিল্ডিং কাঁপতে শুরু করে। দেওয়ালের প্ল্যাস্টার খসে পড়তে শুরু করে এবং কিছু জায়গায় দেওয়ালও ভেঙে পড়ে। এমনকি সেই সময় ফোনের নেটওয়ার্কও ছিল না বলে জানান তিনি।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় সংস্থা। সংস্থাটির এক মুখপাত্র জানান, এলাকাবাসী ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তারপরেও ভূমিধসে বা বাড়ি চাপা পড়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান। আবার এদিনের ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি ব্যপক হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ