ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে নিঃসৃত কার্বনের মাত্রা পরিমাপ করতে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে কানাডা। দেশটির কার্বন নিঃসরণ পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কোম্পানি জিএইচজি স্যাট সম্প্রতি কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করেছে। এটির নাম দেওয়া হয়েছে ভ্যানগার্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ভ্যান্ডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেজ থেকে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ইস্পাত কারখানার মতো কোম্পানি থেকে কী পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয়, তা পরিমাপ ও তথ্য সংরক্ষণ করবে। সে তথ্য শিল্পকারখানার মালিকদের মধ্যে যারা কার্বন নিঃসরণ কমাতে চায়, তারা জিএইচজি স্যাট থেকে কিনতে পারবে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের সরকার ও বিজ্ঞানীরাও কিনে ব্যবহার করতে পারবেন এ তথ্য।
জিএইচজি স্যাটের মন্ট্রিলভিত্তিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন জেরমাইন বলেন, “বায়ুমণ্ডলে নির্গত হওয়া কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা পরিমাপ ও পর্যবেক্ষণের সাধারণ প্রবণতা তৈরির ক্ষেত্রে ভ্যানগার্ডের তথ্য-উপাত্তগুলো সহায়ক হবে।”
দূষণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে মহাকাশভিত্তিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রতি বাড়ছে।
জিএইচজি স্যাট কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা পর্যবেক্ষণকারী যে স্যাটেলাইটগুলো রয়েছে, সেগুলো প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কার্বন নিঃসরণের মাত্রা নির্ণয়কে প্রাধান্য দেয় না। আর ভ্যানগার্ড সে কাজই করবে।
এরই মধ্যে বিভিন্ন স্যাটেলাইটের তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, বায়ুমণ্ডলে মিথেন নিঃসরণের মাত্রা ধারণার চেয়ে অনেক বেশি। জিএইচজি স্যাট কর্তৃপক্ষের ধারণা, কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/আজাদ