১৫ মার্চ, ২০২৪ ১৬:৫৭

দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা থেকে যেভাবে রুশ মসনদে পুতিন

অনলাইন ডেস্ক

দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা থেকে যেভাবে রুশ মসনদে পুতিন

২০১৫ সালেই নিজের এমন কৌশলী ও শক্ত হৃদয়ের পাক্কা খেলোয়াড় হওয়ার গোপন মন্ত্র জানিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছিলেন, জন্মস্থান লেনিনগ্রাদের ‘পথঘাট’ তাকে শিখিয়েছে লড়াই অনিবার্য হলে প্রথমেই আঘাত হানো।’ ২০২২ সালে ইউক্রেন আগ্রাসনে ঠিক একই কাজ করেছেন পুতিন। 

দোর্দণ্ড প্রতাপের পুতিনের উত্থান বেশ নাটকীয়। লেনিনগ্রাদে পুতিনের জন্ম ১৯৫২ সালে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান পুতিন জন্মশহরেই বেড়ে ওঠেন। আইন বিষয়ে ১৯৭৫ সালে স্নাতক ডিগ্রি নেন পুতিন। এরপর শৈশবের স্বপ্ন পূরণে তিনি যোগ দেন সোভিয়েত রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে। সেখানেই তিনি কাজ করেছেন প্রায় দেড়যুগ। কাজের সূত্রেই ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত পুতিন ছিলেন পূর্ব জার্মানিতে। 

এরপর সেন্ট পিটার্সবার্গে ফিরেই রাজনীতির ময়দানে নামেন পুতিন। নিজের চোখের সামনে দেখা নানা বাঁক বদলের অভিজ্ঞতাকেই তিনি করেন রাজনীতির হাতিয়ার। পিটার্সবার্গের মেয়রের পরামর্শদাতা পুতিনের ১৯৯৬ সালে মস্কোতে ডাক পড়ে। ক্রেমলিনের অধীনে মেলে কাজের সুযোগ। পুতিনকে এবার এফএসবির প্রধান করেন তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনিই ১৯৯৯ সালের আগস্টে পুতিনকে প্রধানমন্ত্রী করেন। চেচনিয়া যুদ্ধে ভেলকি দেখিয়ে পুতিন হয়ে ওঠেন আরো জনপ্রিয়। ১৯৯৯ সালে রাশিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান পুতিন।

তারপর ২০০০ সালের নির্বাচনের বৈতরণী পুতি পেরিয়ে যান খুব সহজেই। ২০০৪ সালেও ঘটান একই ঘটনা। ২০০৮ সালেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় পুতিন বসেন প্রধানমন্ত্রীর আসনে। প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল ৪ বছর থেকে ৬ বছর বাড়িয়ে করেন। ২০১৮ সালে চতুর্থ দফায় প্রেসিডেন্ট হন পুতিন। এবার তার পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্টের আসন দখল করার পালা। অনায়াসেই পুতিন এই বৈতরণী পার হয়ে যাচ্ছেন, সে কথা পরিষ্কার করেই জানিয়েছে পশ্চিমা গণমাধ্যম। কারণ, এই নির্বাচনে পুতিনে কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী তো নেই-ই নেই কোনো শক্ত বিরোধী কণ্ঠস্বরও। 

সুপরিচিত মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তির তালিকায় চারবার শীর্ষস্থান পাওয়া পুতিনকে তার সমর্থকেরা ‘ত্রাতা’ হিসেবে দেখেন। তাদের দৃষ্টিতে, রাশিয়ার হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করছেন পুতিন। তবে সমালোচকের দৃষ্টিতে তিনি গণতন্ত্র থেকে রাশিয়াকে বহু দূরে নিয়ে গেছেন। তার জায়গায় চালু করেছেন ‘নিজস্ব শাসনব্যবস্থা’।

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর