ইসরায়েল সপ্তাহান্তে আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করেছে। মার্কিন গণমাধ্যম বৃহস্পতিবার রাতে এ কথা জানিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এবিসি, সিবিএস এবং সিএনএন, অন্যান্য মিডিয়া মধ্যপ্রাচ্যের সময় শুক্রবার ভোরে হামলার কথা জানিয়েছে। হোয়াইট হাউস থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পেন্টাগন ডিউটি ডেস্ক এএফপির এক প্রশ্নের জবাবে বলেছে, ‘আমাদের কাছে এই মুহূর্তে দেয়ার মতো কিছু নেই।’ ইরান বেশ কয়েকটি শহরে তার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইসফাহানের কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
তবে পেন্টাগন ও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এখনও কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। বিস্ফোরণের কারণে কী ক্ষতি হয়েছে, তার হিসাব এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে, ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থাকে ‘ওয়াকিবহাল সূত্র' জানিয়েছে, বিদেশি গণমাধ্যমে ‘গুজব ছড়ানো ও দাবি' করা হলেও ইরানের ইসফাহান বা অন্য কোনো অংশে বিদেশ থেকে হামলার খবর পাওয়া যায়নি।
ইরানের তিন কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ছোট ড্রোন দিয়ে হামলা করা হয়েছে, যেগুলো সম্ভবত ইরানের ভেতর থেকে ওড়ানো হয়েছে। এছাড়া ইরানের আকাশসীমায় অপরিচিত কোনো বিমানের খোঁজও রাডারে ধরা পড়েনি বলে জানান তারা।
ইসলামি বিপ্লবী গার্ড পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ফারস জানিয়েছে, ইসফাহান বিমানবন্দর ও শেকারি আর্মি এয়ারবেসের কাছে ‘তিনটি বিস্ফোরণের' শব্দ শোনা গেছে৷ এদিকে, ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান বলেছেন, ‘বেশ কয়েকটি' ড্রোন ‘গুলি করে সফলভাবে ভূপতিত করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ তিনি লিখেছেন, ‘মিসাইল হামলার কোনো খবর নেই।
ইসফাহানের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সিয়াভাশ মিহানদুশত রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, আকাশে টার্গেট লক্ষ্য করে ডিফেন্স সিস্টেমের ছোঁড়া গুলির শব্দ মানুষ শুনেছে। সমতলে কোনো বিস্ফোরণ হয়নি। ইসফাহানের পরমাণু অবকাঠামোতে ‘কোনো ক্ষতি' হয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থা আইএইএ।
কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে ওয়াশিংটনকে আগাম জানানো হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়টি অনুমোদন করেনি এবং এটি কার্যকরে কোনো ভূমিকাও রাখেনি বলে জানান ঐ কর্মকর্তারা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক