ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে অবস্থিত দুটি কারাগারে কমপক্ষে ২৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় গত বুধবার সকালে এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, একদিনে ২৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
নরওয়ে ভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন (এইচআরএনজিও) অনুসারে, গেজেলহেসার কারাগারে ২৬ জন ও কারাজ কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
এইচআরএনজিও’র পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোগাদ্দাম বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বৈশ্বিক মনোযোগকে কাজে লাগিয়ে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র বর্তমানে বন্দীদের গণহত্যা ও ইরানে দমন-নিপীড়নে নিযুক্ত রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২৯ জনের মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে হত্যার অভিযোগে। বাকি সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে। বাকি তিনজনের ফাঁসি হয়েছে ধর্ষণের অভিযোগে।
অধিকার গোষ্ঠীটি বুধবার আরও দুই নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রতিবেদন পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত প্রতিবেদনটি যাচাই করতে পারেনি এইচআরএনজিও।
সংগঠনটি আরও উল্লেখ করেছে, গত ৬ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর থেকে এক মাসে ইরানে কমপক্ষে ৮৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ফলে ২০২৪ সালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মোট সংখ্যা বুধবার পর্যন্ত ৩৩৮ এ পৌঁছেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, ইরান ২০২৩ সালে ৮৫৩টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। সংখ্যাটি আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালে ৬৪ শতাংশ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল মাদক-সম্পর্কিত অপরাধ, ডাকাতি ও গুপ্তচরবৃত্তিসহ আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে মৃত্যুদণ্ডের ওয়ারেন্ট নয় এমন অপরাধের জন্য।
এদিকে গত সপ্তাহে তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াকে ইসরায়েলি হত্যার অভিযোগের পর থেকে ইরান প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এ জেরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ