বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগর এলাকায় সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপ থেকে সন্ধ্যা ছয়টায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় এখন অবস্থান করছে।
এর ধারাবাহিকতায় আগামীকাল বুধবার নাগাদ এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, “কাল আমরা সাইক্লোন ডিক্লেয়ার (ঘূর্ণিঝড় ঘোষণা) করবো।”
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটির নাম হবে ‘দানা’। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘দানা’। আর এ নামকরণ করেছে কাতার।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “এটি আরবি শব্দ। কাতারের দেয়া নাম। অর্থ বড় মুক্তার দানা”।
বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে একটি প্যানেল। এ অঞ্চলে যে ঘূর্ণিঝড়গুলো হয়, ২০০২ সাল থেকে এ প্যানেলের সদস্য দেশগুলো সেগুলোর নামকরণ করে থাকে।
প্রতি চার বছর পর পর সদস্য দেশগুলো বৈঠক করে আগে থেকেই পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে।
আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “ইকোনোমিক এন্ড স্যোশাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্যা প্যাসিফিক প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত সদস্য দেশগুলো এই অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের আগাম নামকরণ করে থাকে। এই নামকরণই দেশের নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী যেখানে ঘূর্ণিঝড় হয় সেখানে সে নামেই এটি পরিচিত হয়”।
এই তালিকায় রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ইরান, কাতার, ইয়েমেন, ওমান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত