কমলা হ্যারিস নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প? আগামী ২০ জানুয়ারি কার হাতে আমেরিকার ক্ষমতা থাকবে, তা আজ নির্ধারণ করছেন মার্কিন মুল্লুকের বাসিন্দারা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যে নিয়ম, তাতে সরাসরি তারা কমলা বা ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না। তবে কমলা বা ট্রাম্পের মধ্যে কে প্রেসিডেন্ট হবেন, সেটার পথ প্রশস্ত হবে সাধারণ মানুষেরই ভোটে।
মিশিগানে ইলেকটোরাল কলেজ হলো ১৫। একটা সময় মিশিগানকে ডেমোক্র্যাটিকদের জন্য 'নীল প্রাচীর' বলা হতো। কিন্তু ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকেছিল। ২০২০ সালেই অবশ্য ডেমোক্র্যাটের দিকে চলে এসেছিল। যদিও এবার কে বাজিমাত করবেন, তা স্পষ্ট নয়। আপাতত কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প দু'জনেই ৪৭ শতাংশে আছেন।
সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হুইলচেয়ারে করে পেনসিলভানিয়ায় ভোট দিতে এসেছেন ৭৪ বছরের এক কৃষ্ণাঙ্গ নারী। বৃদ্ধা জানিয়েছেন, তার শরীর ভালো নেই। কিন্তু কমলা হ্যারিসের জন্য ভোট দিতে এসেছেন। তিনি কোনও ভাবেননি যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কখনও কোনও কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে ভোট দিতে পারবেন। তার কথায়, 'এক নারী, স্রেফ একজন নারী নন, একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে (প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে) দেখে গর্ববোধ হচ্ছে। আমি গর্বিত।'
এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাতটি 'সুইং' রাজ্য আছে - অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিন। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ছ'টি রাজ্যেই (অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিন) জিতেছিলেন জো বাইডেন। একটি রাজ্যে (নর্থ ক্যারোলিনা) জিতেছিলেন ট্রাম্প। ২০১৬ সালের নির্বাচনে আবার ছ'টি রাজ্যে ট্রাম্প জিতেছিলেন। শুধুমাত্র নেভাদায় জিতেছিলেন হিলারি ক্লিন্টন।
মঙ্গলবার একাধিক রাজ্যে ভোটকেন্দ্র থেকে খুলে গেছে সকাল ৬টা থেকে (স্থানীয় সময় অনুযায়ী)। মোটামুটি সকাল ৮টার মধ্যে (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) ভোটদান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সময় অনুযায়ী, রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটপ্রক্রিয়া চলবে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত