রাশিয়া প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) দিয়ে ইউক্রেন আক্রমণ চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে আস্ত্রাখান অঞ্চল থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। মূল লক্ষ্য ছিল দনিপ্রো শহর। শহরটিতে হামলায় আইসিবিএম ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা জানানো হয়েছে।
আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ৫,৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম। এটি কেবলমাত্র প্রচলিত অস্ত্রই নয়, পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম। এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রকেটের মাধ্যমে চালু হয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে অচালিত গতিপথে পৌঁছে যায়।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানায়, হামলার সময় ছয়টি কেএইচ-101 ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। এই হামলার কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দীর্ঘ-পাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়। ইউক্রেন এই অস্ত্র দিয়ে রুশ সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই ঘটনায় কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিপরীতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র অপেক্ষাকৃত কম দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে এবং লক্ষ্যবস্তুতে নির্দেশিতভাবে পৌঁছায়। গতকাল ইউক্রেন ব্রিটিশ স্ট্রম শ্যাডো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রুশ ভূখণ্ডে আক্রমণ চালিয়েছে বলে জানা যায়।
এই ঘটনায় রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ববাসী পরিস্থিতির উন্নতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল