ইউক্রেন জানিয়েছে, পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া তাদের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যা কিয়েভসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এতে একজন নারীর মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে নির্ধারিত ফোনালাপের ঠিক একদিন আগে এই হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষমতা নেয়ার পর থেকেই ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন শুক্রবার তুরস্কে তিন বছরেরও বেশি সময় পর তাদের প্রথম মুখোমুখি আলোচনায় অংশ নেয়, যেখানে একটি নতুন বন্দী বিনিময় চুক্তিতে সম্মত হয় তারা। তবে অন্য কোনও চুক্তি হয়নি।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে যে রাশিয়া রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮ টা নাগাদ কেন্দ্রীয় কিয়েভ অঞ্চল এবং পূর্বে দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক এবং দোনেৎস্ক অঞ্চল লক্ষ্য করে ২৭৩টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে ৮৮টি ড্রোনকে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং আরও ১২৮টি কোনও নেতিবাচক পরিণতি ছাড়াই পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিয়েভ অঞ্চলের ওবুখিভ জেলায় এই হামলায় একজন নিহত এবং কমপক্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। যার মধ্যে একটি চার বছরের শিশু ছিল।
রাশিয়ার পূর্ববর্তী বৃহত্তম ড্রোন হামলাটি ঘটে ২৩শে ফেব্রুয়ারি। পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের তৃতীয় বার্ষিকীতে যখন মস্কো ২৬৭টি ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছিল।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাতে এবং রবিবার সকালে ২৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন আটক করেছে।
জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ রবিবার বলেছেন, সোমবার সকালে পুতিনের সাথে তার কথোপকথনের আগে তিনি এবং যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং পোল্যান্ডের নেতারা ট্রাম্পের সাথে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন।
তথাকথিত ইউরোপীয় জোট সমর্থিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে চার নেতা দুই সপ্তাহ আগে যৌথভাবে ইউক্রেন সফর করেছিলেন।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, তাদের বিশ্বাস, রাশিয়া হয়তো রাতে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে। যা ভয় দেখানোর চেষ্টা হিসেবে করা হয়েছে।
যদিও রাশিয়া এই দাবির কোনও জবাব দেয়নি।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল