নতুন ‘গ্র্যান্ড মুফতি'র নাম ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। দেশটির সর্বোচ্চ ইসলামিক ধারা ও ধর্মীয় আইন বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন শেখ ড. সালেহ বিন ফাওজান বিন আবদুল্লাহ আল-ফাওজান। তার বয়স প্রায় ৯০ বছর। ড. সালেহ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের অন্যতম শীর্ষ ইসলামি আলেম হিসেবে সমাদৃত।
বিশিষ্ট ইসলামি এ পণ্ডিতকে বাদশাহ সালমান সৌদির নতুন ‘গ্র্যান্ড মুফতি’ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের সুপারিশের ভিত্তিতে এই রাজকীয় আদেশ জারি করা হয়। তার নিয়োগের মাধ্যমে সৌদির ধর্মীয় নেতৃত্বে নতুন অধ্যায় শুরু হলো।
আদেশের মাধ্যমে জানা গেছে, শেখ ফাওজানকে সিনিয়র আলেম পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইফতা ও গবেষণাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি সম্প্রতি প্রয়াত গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুলআজিজ আল-শেখের উত্তরসূরি হলেন।
শেখ সালেহ আল-ফাওযান ১৯৩৫ সালে সৌদি আরবের আল-কাসিম অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাগ্রহণ করেন বুরাইদা শহরে। পরে রিয়াদের কলেজ অব শরিয়াহ থেকে ফিকহ বা ইসলামী আইন নিয়ে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি হায়ার ইনস্টিটিউট অব জুডিশিয়ারির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯২ সালে শেখ আল-ফাওযান পার্মানেন্ট কমিটি ফর স্কলারলি রিসার্চ অ্যান্ড ইফতা-এর সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্সের সদস্য, মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের অধীন ইসলামিক ফিকহ কাউন্সিলের সদস্য ও হজ মৌসুমে দাওয়াত ও প্রচার কার্যক্রম তদারকি কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শেখ আল-ফাওযান বহু ইসলামী বই ও ফতোয়ার সংকলন করেছেন। তিনি রেডিওর অনুষ্ঠান ‘নূর আলা আদ-দারব’ অনুষ্ঠানের জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে পরিচিত।
বিডি-প্রতিদিন/এমই