জন প্রেসকট। যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সময় ছিলেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী। তার সময়েই ঘটে ইরাক যুদ্ধ। জন প্রেসকট অবশেষে মন্তব্য করেছেন ইরাকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যে যুদ্ধ চালিয়েছিল তা অবৈধ। ‘সানডে মিরর’কে লেখা এক নিবন্ধে প্রেসকট এই যুদ্ধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ২০০৩ সালে ইরাক দখল করে যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে। ইরাক দখলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের প্রকাশিত এক তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গতকাল এ মন্তব্য করেন প্রেসকট। ইরাক যুদ্ধ নিয়ে সাত বছর তদন্তের পর ‘চিলকট রিপোর্ট’ নামের ওই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় বুধবার। স্যার জন চিলকট ওই তদন্ত করেন। এতে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের ইরাক যুদ্ধে জড়ানোর সিদ্ধান্ত, এর পরিকল্পনা ও পরিচালনার যৌক্তিকতা নিয়ে তদন্ত করা হয়। প্রতিবেদনে ইরাক দখলের সিদ্ধান্তের জন্য ব্লেয়ারের তীব্র সমালোচনা করা হলেও যুদ্ধটি বৈধ ছিল কি না সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু সাবেক ব্রিটিশ উপ-প্রধানমন্ত্রী বললেন ওই যুদ্ধ ছিল অবৈধ। আর চিলকট প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাক অভিযানের আট মাস আগে ব্লেয়ার যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে বলেছিলেন, ‘যাই হোক না কেন, আপনার সঙ্গে আছি।’ আর এই সিদ্ধান্ত ‘বিধ্বংসী’ বলে উল্লেখ করেছেন জন প্রেসকট। নিবন্ধে প্রেসকট জানান তিনি ইরাক যুদ্ধেও বৈধতা বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সালে ইরাকে যে হামলা চালায়, তা ছিল অবৈধ। ওই বিপর্যয়মূলক সিদ্ধান্ত তাকে আজীবন তাড়িয়ে বেড়াবে। প্রেসকট লিখেছেন, ‘২০০৪ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান বলেছিলেন, ক্ষমতা পরিবর্তন ইরাক যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য হওয়ায় তা অবৈধ। অনেক দুঃখ ও ক্ষোভের সঙ্গে এখন আমি বিশ্বাস করছি যে তিনি ঠিক ছিলেন।’ ইরাক যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিদের স্বজন এবং আহত ব্যক্তিদের কাছে লেবার পার্টির নেতা জেরমি করবিন দলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ায় তার প্রশংসা করেছেন প্রেসকট। প্রেসকট নিজেও বিশেষ করে ইরাক যুদ্ধে নিহত ব্রিটিশ সৈন্যদের পরিবারের কাছে সর্বতোভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। ‘বাকি জীবন এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া ও তার বিপর্যয়কর ফলাফলের দায় নিয়ে বেঁচে থাকব আমি’—বলেছেন জন প্রেসকট। তার নিবন্ধ প্রকাশের পর টনি ব্লেয়ারকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে। ইরাক যুদ্ধে হতাহত ব্রিটিশ সৈন্যদের পরিবার ব্লেয়ারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগের কথা জানিয়েছে। ইরাক যুদ্ধে ১৭৯ জন ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হন। সরকারের ব্যয় হয় প্রায় ১০ বিলিয়ন পাউন্ড। যুদ্ধে প্রায় দেড় লাখ ইরাকি নিহত হয় এবং ১০ লাখের বেশি বাস্তুহারা হয়। বিবিসি।
শিরোনাম
- রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
- স্বর্ণের দাম বেড়েছে
- বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
- গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
- অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
- শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
- সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স
- তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
- ৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
- দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
- জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
- গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি
- শান্তি প্রচেষ্টা জোরদারে আলোচনার জন্য তুরস্কে জেলেনস্কি
- সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প
- কিবরিয়া হত্যায় ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় : র্যাব
- লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা