প্রায় এক মাস প্রশাসনিক অচলাবস্থা কাটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। সমর্থকরাও প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করছেন। কোণঠাসা ট্রাম্প বিরোধী নেতাকে সতর্ক করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। নতুন পরিকল্পনাগুলো পেশ করার আগেই সেগুলো নাকচ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। মেক্সিকো সীমান্তে নিরাপত্তার জন্য দেয়াল নির্মাণের তহবিলের বিনিময়ে বেশ কিছু বিষয়ে আপস প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। দেয়াল নির্মাণের তহবিল বরাদ্দের বিষয়টি সুরাহা না হওয়াতেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার দীর্ঘদিন ধরে আংশিক অচল হয়ে আছে। ট্রাম্প বলেন, তার বিরোধিতা যারা করছেন তাদের নজর অপরাধ কিংবা মাদকের বিষয়টিতে নেই বরং তারা কেবল ২০২০ সালের নির্বাচনটাই চোখে দেখছেন, যেটাতে তারা জিতবেন না। মার্কিন প্রশাসনের একটা অংশ প্রায় এক মাস ধরে অচল হয়ে রয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে কর্মরত প্রায় ৮ লাখ সরকারি কর্মী বেতন পাচ্ছেন না। সরকারের এই ‘শাটডাউন’ বা অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের উদ্দেশে এক প্রস্তাব রেখেছিলেন। মেক্সিকো সীমান্তে বিশাল প্রাচীর তৈরির প্রশ্নে কোনো আপস করতে প্রস্তুত না হলেও ট্রাম্প অভিবাসনের বিষয়ে সুর কিছুটা নরম করেছেন। তরুণ অবৈধ অভিবাসীদের কল্যাণে ‘ড্রিমার্স’ কর্মসূচির মেয়াদ তিনি তিন বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তা ছাড়া অভিবাসনের ক্ষেত্রে তিনি নতুন এক শ্রেণি সৃষ্টি করতে চান। তার আওতায় সশস্ত্র সংগ্রাম, প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা অন্য কোনো সংকটকবলিত দেশের মানুষের জন্য সাময়িক আশ্রয় দেওয়া যেতে পারে। এমন আপসের প্রস্তাব দিয়ে উভয় সংকটে পড়েছেন ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটরা অবিলম্বে সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েপ্রণ। কোনো অবস্থায় তারা প্রাচীর তৈরির জন্য ৫৭০ কোটি ডলার মঞ্জুর করতে প্রস্তুত নন। তার বদলে সামগ্রিকভাবে সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করে অনুপ্রবেশ রুখতে এক সার্বিক সমাধানসূত্রের পথে যেতে চান বিরোধীরা। তার আওতায় সীমান্তে কিছু অংশে বেড়া দেওয়া যেতে পারে। ডেমোক্র্যাটদের দাবি, রাজনৈতিক মঞ্চের এই সংঘাতের মধ্যে প্রশাসনকে অচল করে ও সরকারি কর্মীদের বেতন আটকে রাখা চলবে না। সরকারি কাজকর্ম শুরু হলে প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবকে ভিত্তি করে আলোচনা শুরু করা যেতে পারে। অন্যদিকে ট্রাম্পের সমর্থকরাও প্রেসিডেন্টের এমন প্রস্তাবে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অভিবাসনের প্রশ্নে তারা কোনোরকম নরম অবস্থান মেনে নিতে প্রস্তুত নন। কট্টর দক্ষিণপন্থি বলে পরিচিত সংবাদমাধ্যমেও তাই প্রেসিডেন্টের আপস প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় সমালোচনা শোনা যাচ্ছে। এ অবস্থায় কোণঠাসা ট্রাম্প তাদের আশ্বস্ত করতে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। একের পর এক টুইট বার্তায় তিনি অভিবাসনের প্রশ্নে কড়া মন্তব্য করছেন। একটি বার্তায় তিনি লেখেন, তিনি কোনোমতেই বেআইনি অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব দিচ্ছেন না। প্রস্তাবের মধ্যে শুধু ড্রিমার্স বা ডিএসিএ কর্মসূচির মেয়াদ তিন বছর বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ অবস্থায় অচলাবস্থা কাটার কোনো দ্রুত সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এএফপি, ডয়েচে ভেলে
শিরোনাম
- খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
- পর্যটনের স্বপ্ন ফাইলেই বন্দি
- স্বস্তির জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ আটের মঞ্চে রিয়াল
- উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬
- ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ভরপেট খেলেও মোটা হবেন না, জানুন কোন খাবারগুলো নিরাপদ
- দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ
- টিএসসিতে রিকশার ভেতরেই মিলল চালকের মরদেহ
- চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত
- ১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
- প্রেমে ব্যর্থ হলে বাথরুম পরিষ্কার করেন যে অভিনেতা
- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন নির্দেশনা
- ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
- মুস্তাফিজকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে শ্রীলঙ্কা
- ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়: তারেক রহমান
- রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৬৮ বিলিয়ন ডলার
- জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পেল পাকিস্তান
- কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৪৮ বছরের রেকর্ড ভাঙল চট্টগ্রাম বন্দর
- সিলেটে পাথর শ্রমিকদের বিক্ষোভে গাড়ি ভাঙচুর
- টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ
ট্রাম্প ক্ষুব্ধ, বিরোধী নেতাকে হুঁশিয়ারি
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর