রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

কাশ্মীর বিল চূড়ান্ত অনুমোদনের পর সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

কাশ্মীর বিল চূড়ান্ত অনুমোদনের পর সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ

ভারত শাসিত কাশ্মীরকে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দুটি রাজ্যে পৃথককরণের বিল গতকাল চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। গত সপ্তাহে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা ও উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায়  সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে পাস হওয়া ‘জম্মু-কাশ্মীর সংরক্ষণ বিল’-এ স্বাক্ষর করেছেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বিরোধী দলগুলার ঘোর আপত্তি থাকলেও এখন ভারত শাসিত কাশ্মীরের দুটি অঞ্চলে বিভক্ত হওয়া সময়ের ব্যাপারমাত্র। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর, আগামী ৩১ অক্টোবর কার্যকর হবে এই বিভক্তি। অবশ্য ৩৭০ ধারা বাতিল ও জম্মু-কাশ্মীরের বিভক্তির সিদ্ধান্তকে গতকালই সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে কাশ্মীরের রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স। এর মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহীদ চৌধুরী টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, নগরীর বেশির ভাগ জায়গার কড়াকড়ি ও সীমাবদ্ধতা শিথিল করা হয়েছে। গত সোমবার ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতির আদেশে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার কথা জানিয়েছিলেন। ভারতীয় সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদের বলেই জম্মু ও কাশ্মীর এতদিন বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা পেয়ে আসছিল। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পাশাপাশি ওইদিন অমিত শাহ ‘জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ বিল’ নামে নতুন একটি প্রস্তাব পার্লামেন্টে তোলেন। বিরোধী দলগুলার ঘোর আপত্তির পরও গত সপ্তাহে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে ওই বিল পাস হয়। লোকসভায় বিলটি পাস হওয়ার পর তা উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাঠানো হয়। সেখানেও বিলটি পাস হলে অনুমোদনের জন্য তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়।  ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ওই বিলে অনুমোদন দেন। বিল অনুসারে, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হওয়ার পর আপাতত দুই জায়গায় দুজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশাসনিক কর্মকা- পরিচালনা করবেন।

 

সর্বশেষ খবর