শিরোনাম
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বহুকাল ক্ষমতায় থাকার খায়েশ পুতিনের!

বহুকাল ক্ষমতায় থাকার খায়েশ পুতিনের!

প্রেসিডেন্টের একটি ভাষণ। সাংবিধানিক পরিবর্তনের রূপরেখা ঘোষণা। তার কিছু পরই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, পুরো মন্ত্রিসভার পদত্যাগ। নিযুক্ত হলেন নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়ায় বুধবার এভাবেই আকস্মিক এবং নাটকীয় কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। সরকারের মন্ত্রীরা আগেভাগে কিছুই জানতেন না এ ব্যাপারে। কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, মন্ত্রীদের কোনো ধারণাই ছিল না তাদের এভাবে পদত্যাগ করতে হবে। এসবের অর্থ কী? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভøাদিমির পুতিন তার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বুধবার এমন কিছু সাংবিধানিক পরিবর্তনের রূপরেখা তুলে ধরেন- যার ফলে ২০২৪ সালে তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পরও রুশ প্রশাসনে তার প্রভাব বজায় থাকবে। পুতিন তার বার্ষিক ‘স্টেট অব দি নেশন’ ভাষণে বলেন, ভবিষ্যতে রুশ  প্রেসিডেন্টদের দুই মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকা উচিত হবে না এবং পার্লামেন্টের ক্ষমতাও বাড়ানো উচিত। তা ছাড়া রাষ্ট্রীয় যে কাউন্সিলের প্রধান ভøাদিমির পুতিন নিজে - তার ভুমিকাও জোরদার করা উচিত বলে মত প্রকাশ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এ ভাষণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এসব পরিবর্তনের পথ সুগম করার জন্য রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের নেতৃত্বে পুরো রুশ সরকার পদত্যাগ করে। ক্রেমলিন থেকে কর বিভাগের পরিচালক মিখাইল মিশুস্তিনকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। বিবিসির বিশ্লেষক পল কারবি বলছেন, এটা স্পষ্ট যে ৬৭-বছর বয়স্ক ভøাদিমির পুতিন এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট আছেন গত ২০ বছর ধরে এবং বর্তমান আইন অনুযায়ী আর চার বছর পরেই তার বিদায় নেবার কথা। তাই মনে হচ্ছে, পুতিন অনেক আগে থেকে কাজ শুরু করেছেন এবং এর উদ্দেশ্য- রাশিয়ায় তার ক্ষমতা-প্রভাব অব্যাহত রাখা।

দিমিত্রি মেদভেদেভের কী ভূমিকা : মেদভেদেভকে এখন রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের ডেপুটি প্রধান করা হয়েছে। তিনি এখন কাজ করবেন অনেকটা লোকচক্ষুর আড়াল থেকে। “এটা হচ্ছে সোনালি প্যারাসুটের মতো। তিনি রিজার্ভ বেঞ্চে আছেন, কারণ এই নিরাপত্তা কাউন্সিল হচ্ছে পুতিনের ঘনিষ্ঠতম অন্দরমহল - তার নিজের মিনি-সরকার- বলছিলেন কার্নেগি মস্কো সেন্টারের আলেক্সান্ডার বাউনভ। ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির অজনপ্রিয় নেতা মেদভেদেভ মাঝখানে চার বছর  প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কারণ তখন পুতিনের প্রেসিডেন্ট পর পর দুই মেয়াদ পুরো হয়ে গিয়েছিল- তাই তাকে এক  মেয়াদের জন্য তার বিশ্বস্ত ব্যক্তি মেদভেদেভের হাতে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। কিন্তু এবার প্রেসিডেন্ট পুতিন আগের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে পেছনের সিটে বসে থাকার পরিকল্পনা করছেন না।

সর্বশেষ খবর